মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে গ্রামের পথেই ছুটছে করোনা! শহরের চেয়ে এখন গ্রামে আক্রান্তের হার বেশি


প্রকাশের সময় :৬ জুন, ২০২০ ৫:১৮ : অপরাহ্ণ

এম.এইচ মুরাদঃ

চট্টগ্রামে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকেই প্রতিদিন আক্রান্তদের মধ্যে উপজেলার চেয়ে তিন-চারগুণ বেশি শনাক্তের নাম দেখা যেত নগরীর মধ্যে বসবাস করা ব্যক্তিদের। তবে এ চিত্র গত দুইদিন থেকে ভিন্ন দেখা যাচ্ছে। গেল দুইদিনই নগর কে ছাড়িয়ে তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন গ্রাম অঞ্চলের শনাক্তরা। গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের তিন ল্যাবে করোনা নমুনা শনাক্ত হওয়া তালিকায় এমন চিত্রই দেখা যায়।

এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিভাগ মনে করছেন, শহর ছাড়িয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। তবে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট অনেকের ধারণা-ঈদের পর থেকে শিথিলতায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। যা আগামীতেও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘ঈদের মধ্যে অনেকেই নিজ বাড়িতে গিয়েছেন। আবার লকডাউন শিথিল হওয়ার পর অনেকেই শহর থেকে গ্রামের পাড়ি দিয়েছেন, অনেকেই ঘুরতেও গিয়েছেন। যা গ্রামের জন্য পুরোই কাল। এ মুহূর্তে বাসায় থাকা ছাড়া বের হওয়াতো থাক দূরের কথা, ঘুরাঘুরি করা মোটেও উচিত নয়। যার কারণে এতদিন গ্রামে আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ২০ থেকে ২৫ শতাংশ হলেও তা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এমন পরিস্থিতি থাকলে হয়তো সামনে আরও বাড়তে পারে বলেও আশংকা এ চিকিৎসকের।’

এমন আশংকার মধ্যেই গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে নতুন করে আরও ১৪০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে বরাবরের মতো রয়েছেন পুলিশ, র‌্যাব, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীও। তবে আক্রান্তের তালিকায় যোগ দিয়েছেন চন্দনাইশ পৌরসভার চার কর্মকর্তা-কর্মচারীও। নতুন শনাক্ত হওয়া ১৪০ জনসহ এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮০৯ জনে। গতকাল শুক্রবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।

গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের তিন ল্যাবে সর্বমোট ৫৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে ১৪৩ জনের ফলাফল পজেটিভ আসে। তারমধ্যে একজন রাঙামাটি জেলার। বাকি ১৪২ জনেই চট্টগ্রামের। তবে তাদের মধ্যে দুইজন দ্বিতীয়বার নমুনা পরীক্ষায় পজেটিভ রয়েছে। যা বাদ দিয়ে ১৪০ জনেই চট্টগ্রামের নতুন শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে ৭১ জনেই ৮ উপজেলার। বাকি ৬৯ জন মহানগরের। গতকাল শনাক্তদের মধ্যে শুধুমাত্র চন্দনাইশ উপজেলাতেই রয়েছেন ২০ জন। আগের দিনও একই উপজেলাতে শনাক্ত হয়েছে ২২ জন করোনা রোগী। এছাড়া নতুন শনাক্তের মধ্যে বোয়ালখালী ও আনোয়ারা উপজেলাতে ১৬ জন করে রয়েছেন।

তথ্য মতে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ল্যাবে বৃহস্পতিবার সর্বমোট ১৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তারমধ্যে ৫০ জনের ফলাফল পজেটিভ আসে। যাদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর ৪৫ জন এবং উপজেলার পটিয়ায় দুইজন এবং কর্ণফুলীতে তিনজন রয়েছেন। শনাক্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ল্যাবে ১৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে ৫৩ জনের ফলাফল পজেটিভ আসে। তারমধ্যে একজন রাঙামাটির জেলার। বাকি ৫২ জনেই চট্টগ্রামের। যাদের মধ্যে দুইজনের ফলাফল দ্বিতীয়বার পজেটিভ শনাক্ত হয়। বাকি ৫০ জনেই নতুন শনাক্ত। তাদেরমধ্যে মহানগরের ৬ জন বিভিন্ন উপজেলার ৪৪ জন রয়েছে। এদের মধ্যে র‌্যাব-৭ এর এক সদস্যও রয়েছেন। রয়েছেন উপজেলার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী।

আর ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি ল্যাবে ২৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তারমধ্যে ৪০ জনের ফলাফল পজেটিভ আসে। যাদের সকলেই চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দা। এদেরমধ্যে মহানগরের ১৮ জন এবং উপজেলার ২২ জন রয়েছেন। তারমধ্যে শুধুমাত্র চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদের চারজনসহ ১৯ জন রয়েছে। এছাড়া রাঙ্গুনিয়া উপজেলার স্বাস্থ্যকর্মীসহ রয়েছেন আরও ৩ জন।

ট্যাগ :