এম.এইচ মুরাদঃ
করোনার এই দুর্যোগ মূহুর্তে বিশ্বের কোন স্থানকে নিরাপদ মনে করা হচ্ছে না। রাস্তা-ঘাট, হাট বাজার থেকে শুরু করে প্রতিটি জায়গায় এখন চলাচল করতে মানুষ সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করা এবং নিজেকে নিরাপদ রাখতে বিভিন্ন নিরাপদ সামগ্রী পরিধান করছেন।
তারই ধারাবাহিকতায় আল্লাহর ঘর তথা মসজিদে নামাজ পড়তে সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আবার কিছু মসজিদের মুসল্লি এবং মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে নেয়া হচ্ছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
তেমনি একটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ চোখে পড়ল চট্টগ্রামের একটি মসজিদের প্রবেশমূখে।
বলছিলাম চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ কমপ্লেক্সের কথা। এই মসজিদে প্রবেশের আগে মুসল্লিদের জীবাণুমুক্ত করতে জীবাণুনাশক ট্যানেল বসানোর আয়োজন করেছে দেশের মানবতাবাদী সংগঠন হিসাবে খ্যাত কাশেম-নুর ফাউন্ডেশন। চট্টগ্রামে কোনো মসজিদে মুসল্লিদের জন্য স্থাপিত এটিই প্রথম জীবাণুনাশক টানেল।
জানা গেছে, শুক্রবার এই মসজিদে জুমার নামাজের আগেই এলাকায় মাইকিং করে মুসল্লিদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে আসতে অনুরোধ জানানো হয়। সবাইকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিয়ে আসতে বলা হয় জায়নামাজ। এছাড়া মুখে মাস্ক নিশ্চিত করে আসতে বলা হয় মসজিদে। শিশুদের মসজিদে আনা থেকে বিরত থাকতে বলা হয় মুসল্লিদের। যদি কোন বাড়িতে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি থাকে, সে বাড়ির কাউকে মসজিদে আসা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হয়।
এছাড়া প্রবেশপথে স্থাপিত জীবাণুনাশক টানেল অতিক্রম করেই প্রত্যেক মুসল্লিকে প্রবেশ করতে হয়েছে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ কমপ্লেক্সে। পাশাপাশি তিন ফুট দূরত্বে দাঁড়িয়ে নিজস্ব জায়নামাজে নামাজ আদায় করতে হয়েছে মুসল্লিদের। নামাজ শেষে বের হওয়া সময়ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে। কাশেম-নুর ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে মসজিদের সামনে রাখা হয়েছে এক ঝাঁক তরুণ স্বেচ্ছাসেবকদল। যারা স্বাস্থ্যবিধির মেনে চলার বিষয়গুলো তদারকির দায়িত্বে ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে কাশেম-নুর ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারম্যান দানবীর হাসান মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘কাশেম-নূর ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এই মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজের আগে জীবাণুনাশক ট্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সুবিধার্থে এই টানেল স্থাপন করা হয়েছে মসজিদে। মসজিদে যেন মুসল্লিরা নিরাপদে নামাজ পড়ে এবং নামাজের পর নিরাপদে ঘরে ফিরে সে জন্য সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কারণ মসজিদে যেহেতু বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লীরা আসে তাই আমি মনে করি এখানে নিরাপত্তা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা বেশি দরকার। এই উপলব্ধি থেকে কাশেম-নুর ফাউন্ডেশন চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা জামে মসজিদের প্রবেশ মূখে জীবানুনাশক টানেল স্থাপনসহ বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’