স্টাফ রিপোর্টারঃ
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরও কমেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৫০ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। তবে দু’দিন মৃত্যুশূন্য থাকার পর করোনায় আক্রান্তদের ২ জন মারা গেছেন। এ সময়ে আরোগ্যলাভ করেন ৪১২ জন। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত চট্টগ্রামের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত রিপোর্টে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্টে ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং নগরীর আট ল্যাবে শনিবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৬৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন শনাক্ত ৫০ জন বাহকের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৩০ জন এবং আট উপজেলার ২০ জন। ফলে জেলায় মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ লক্ষ ১ হাজার ৩৮৭ জনে। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৩ হাজার ৩৮৭ জন ও গ্রামের ২৭ হাজার ৮৯৮ জন।
উপজেলা পর্যায়ে গতকাল শনাক্ত ৩২ জনের মধ্যে রাঙ্গুনিয়া ও রাউজানে ৬ জন করে, আনোয়ারা ও পটিয়ায় ২ জন করে এবং হাটহাজারী, সীতাকু-, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ১ জন রয়েছেন।
দু’দিন মৃত্যুহীন থাকার পর গতকাল করোনায় শহরের ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ২৮১ জন। এর মধ্যে ৭০৮ জন শহরের ও ৫৭৩ জন গ্রামের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪১২ জন। ফলে জেলায় এ পর্যন্ত মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ১৬৯ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ১০ হাজার ৪০২ জন ও বাসায় আইসোলেশনে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৭৫ হাজার ৭৬৭ জন। নতুন করে হোম কোয়ারেন্টটাইন ও আইসোলেশনে গেছেন ১৪১ জন এবং করোনামুক্তির ছাড়পত্র নেন ১৫১ জন। বর্তমানে কোয়ান্টোইনে রয়েছেন ১৪০৬ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৫৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শহর ও গ্রামের একজনের করে রেজাল্ট পজিটিভ আসে। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৫৩৮ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৫ ও গ্রামের একটিতে জীবাণুর অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১৭৫ জনের নমুনায় শহরের ১০ ও গ্রামের ১ জন ভাইরাসবাহক চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১১৩ টি নমুনার মধ্যে শহরের ১ ও গ্রামের ১২ টিতে করোনার ভাইরাস পাওয়া যায়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ৭৫ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে শহরের ৪ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়। নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে পরীক্ষিত ৭ নমুনার মধ্যে শহরের ১ ও গ্রামের ২ টির রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
বেসরকারি ল্যাবরেটরির মধ্যে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১০৩ টি নমুনায় শহরের ৫ ও গ্রামের ৩ টি, এপিক হেলথ কেয়ারে ৭৫ নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ৩ টিতে ভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১৩ টি, ল্যাব এইডে ২ টি এবং কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো চট্টগ্রামের ৫ টি নমুনা পরীক্ষা করলে সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। তবে এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে শেভরনে ০ দশমিক ৩৫ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ১১, চমেকহা’তে ৬ দশমিক ২৮, চবি’তে ১১ দশমিক ৫০, এন্টিজেন টেস্টে ৫ দশমিক ৩৩, আরটিআরএলে ৪২ দশমিক ৮৫, মা ও শিশু হাসপাতালে ৭ দশমিক ৭৬, এপিক হেলথ কেয়ারে ৪ এবং মেডিকেল সেন্টার, ল্যাব এইড ও কক্সবাজার মেডিকেলে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।