হাটহাজারী প্রতিনিধি:
সারা দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে সরকার পর্যন্ত হিমশিমে পড়ে গেছে। কর্মহীন দিনমজুরদের বাঁচানোর জন্য সরকার নিজে প্রতিটি গ্রামে- গঞ্জে বাড়িতে বাড়িতে ত্রাণ সমাগ্রী পাঠাচ্ছেন এবং অসহায় হত দরিদ্ররা ত্রাণ পাচ্ছেন কিনা তদারকিতে রয়েছে প্রশাসন। ঠিক সে মুহুর্তে চট্টগ্রাম হাটহাজারী উপজেলার ৩নং মির্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার এর বিরুদ্ধে ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের লিখিত অভিযোগ করেন ওই ইউনিয়নের মেম্বারেরা।
অভিযোগে উল্লেখ করেন, মেম্বারদের কিছু না জানিয়ে খালি রেজুলেশন করে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড যেমন, ওয়ান পার্সেন ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব আয়ের কোন হিসাব পত্র মেম্বারেরা জানে না। এবং এলজিএসপি, এডিপিসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছিল। এরই ধরাবাহিকতায় বিদেশ ফেরত হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা হত দরিদ্রের তালিকা মেম্বারদের না জানিয়ে ওই চেয়ারম্যান প্রস্থাপন করেন। ইতিপূর্বে অনেক প্রকল্পের কাজ বাজেট হয়েছে কিন্তু কোন কাজ হয়নি।
এদিকে ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড মেম্বারেরা নিজ এলাকায় খুবই নগন্য হয়ে পড়েন। কারণ কোন ওয়ার্ডে উন্নয়ন কাজের পরিপূর্ণ কাজ হচ্ছে না।
অসয্য হয়ে সব মেম্বারেরা মিলে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, মির্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ডিসি,ইউএনও কাউকে মানে না। উনি উপজেলাও আসেন না। উনার বিরুদ্ধে অনিয়মের বহু অভিযোগ রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কর্মহীন দিনমজুর হত দরিদ্রের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের জন্য মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদে তিন দফায় ত্রাণ পাঠানো হয়। প্রথম দফায় ৫শত কেজি চাউল ও নগদ তিন হাজার টাকা, দ্বিতীয় দফায় ৫শত ৩৩ কেজি চাউল, তৃতীয় দফায় এমপি স্যারের পক্ষ থেকে ৫০বস্তা ত্রাণ (চাউল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ) পাঠানো হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান নিজ ইউনিয়নে বিতরণ করছেন কিনা সেটার মাষ্টার রুল কপি উপজেলায় জমা দেয়নি। আজ ওই ইউনিয়নের মেম্বারদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। কপিটি মাননীয় ডিসি স্যারের বরাবর পাঠানো হচ্ছে।