স্টাফ রিপোর্টারঃ
মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) চট্টগ্রামস্থ সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং (সিআরবি) এলাকায় একটি হাসপাতাল নির্মাণের চুক্তি করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। চুক্তি অনুযায়ী ৬ একর জায়গায় গড়ে তোলা এই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করবে ইউনাইটেড চট্টগ্রাম হাসপাতাল লিমিটেড।
যদিও হাসপাতাল নির্মাণের ঘোষণায় ইতোমধ্যে চারদিকে উঠেছে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড়। যার ফলে হাসপাতালটি নির্মাণে তৈরি হয়েছে জটিলতা। এর মধ্যে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে নগরীর অন্য কোনো জায়গায় তা স্থাপনের পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ ৮ জনকে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে আরও একাধিক সংগঠন বিভিন্ন দফতরে হাসপাতাল অন্যত্র নির্মাণে স্মারক লিপি প্রদান করেছে।
ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের ১৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব উদ্বেগ প্রকাশ করে মিডিয়ায় একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
বুধবার (১৪ জুলাই) ৭ দিনের সময় দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রেল সচিব, রেলওয়ের ডিজি, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল জোনের জিএম, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির সিইও, পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজি, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যন ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কমিশনার বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের (বিএইচআরএফ) পরিচালক, ট্রাস্টি ও চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি আইনজীবী এএম জিয়া হাবিব আহসানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম এ নোটিশ দেন।
প্রকল্পের স্থান পরিবর্তনে সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হলে বিএইচআরএফ’র পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আদালতে মামলা কিংবা উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করার কথাও উল্লেখ করে নোটিশে।