মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪ ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম

চট্টগ্রামের সদরঘাটে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো কেএসআরএম’র লাইটার জেটি


প্রকাশের সময় :৮ জুলাই, ২০২১ ১১:২৬ : পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর সদরঘাটের ৪ নম্বর লাইটার জেটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেছে ইজারাদার প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম স্টিল প্ল্যান্ট লিমিটেড।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতির মাধ্যমে জেটিটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়।

এসময় কেএসআরএম’র উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সারওয়ার জাহান রোকন বলেন, এ জেটি দিয়ে আমাদের নিজস্ব পণ্য লোড-আনলোড করা হবে। এছাড়া, ভাড়ার মাধ্যমে অন্য প্রতিষ্ঠানের মালামালও লোড-আনলোড করা হবে। তবে তা নির্ভর করবে আমাদের পণ্য বন্দরে থাকা না থাকার ওপর। মনে হয় না এর প্রয়োজন হবে। কারণ পুরো বছরজুড়েই আমাদের নিজস্ব পণ্য আনা-নেওয়ার কার্যক্রম চলমান থাকে।

কেএসআরএমে’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম বলেন, লাইটার জেটি চালুর মাধ্যমে কেএসআরএম ব্যবসায়িকভাবে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। পাশাপাশি বেড়েছে স্বনির্ভরতা ও সক্ষমতা। সদরঘাট ৪ নম্বর জেটি পুরোপুরি পরিচালিত হবে কেএসআরএমের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়। বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ বড় জাহাজ (মাদার ভ্যাসেল) থেকে নিজস্ব লাইটারে জেটিতে এনে খালাস করা হবে পণ্য। আমরা আশা করছি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জেটি সংক্রান্ত বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের উদ্যোগ নেবে। এতে করে আমরা আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে পারব অনেক গুণ।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চিফ হাইড্রোগ্রাফার কমান্ডার এম আরিফুর রহমান বলেন, লাইটার জেটি চালুর ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের গতিশীলতা যেমন বাড়বে তেমনি সম্প্রসারণ হবে ব্যবসা-বাণিজ্যের। বিশেষ করে এসব জেটি বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের জন্য অবারিত সুযোগ সৃষ্টি করেছে। আমাদের বিশ্বাস এতে করে বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারে আরও বেশি আগ্রহী হবেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র হাইড্রোগ্রাফার নাসির উদ্দিন, ডেপুটি ট্রাফিক ম্যানেজার অপারেশন মো সাইফুল আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল হাসান চৌধুরী, কেএসআরএমের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক করিম উদ্দিন, সারওয়ার জাহান রোকন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম, মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মোস্তফা, ক্যাপ্টেন আনোয়ারুল হক, প্রধান প্রকৌশলী গোলাম মর্তুজা, এজিএম মো. মমিনুল হক চৌধুরী ও দি ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস’র চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান নাজিম উদ্দিন শ্যামলসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান এই লাইটার জেটি পরিদর্শনের করে অতিদ্রুত (সর্বোচ্চ ৭ দিনের মধ্যে) চালু করার জন্য ইজারাদারদের তাগাদা দিয়েছিল।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দরের কার্যক্রমে গতিশীলতা আনার জন্য ৪টি লাইটার জেটি নির্মাণ করে বেসরকারিভাবে কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নেয়। সেই প্রেক্ষাপটে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে কেএসআরএম ৪নং সদরঘাট লাইটার জেটির ইজারা পায়। অন্য তিন লাইটার জেটির ইজারাদার হলো- ১ নং রুবি ফুড, ২ নং বিএসআরএম ও ৩ নং একেএস। কয়েকদিনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে এসব জেটিও চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট ইজারাদাররা।

এসব জেটি চালু করার পর সত্যিকার অর্থে জেটি পরিচালনার (জেটি সংলগ্ন নদীর নাব্যতা, মালামাল নামানো, ট্রাকে করে স্ব স্ব গুদামে পরিবহন, ক্রেন, বিদ্যুৎ, রাস্তা ব্যবহারের উপযোগিতা ইত্যাদি) অভিজ্ঞতা ইজারাদাররা বন্দর কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানাবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

ট্যাগ :