স্টাফ রিপোর্টারঃ
চট্টগ্রাম নগরের লালখানবাজার এলাকায় আলমগীর নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাত করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাতে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে করোনা-আক্রান্ত মাকে দেখে বাসায় ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত আলমগীরকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর রাতেই খুলশি থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এই ঘটনায় জড়িত যুবক জাহেদ, হানিফসহ পাচজনকে আটক করেছে। হামলায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
খুলশি থানার ওসি মো. শাহীনুজ্জামান জানান, আটক হওয়া জাহেদ প্রয়াত ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যা মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে খুলশি থানায় হত্যা, মারামারি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১২টি মামলা আছে। আটক হওয়া হানিফসহ বাকি তিনজনের বিরুদ্ধেও খুলশি থানায় আছে একাধিক মামলা। আটককৃতরা স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারী৷ ছুরিকাহত হওয়া যুবক একই এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা ও আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে লালখানবাজার ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ মনোনীত একক কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আবুল হাসনাত মো. বেলালের অনুসারী।
আবুল হাসনাত মো. বেলালের অভিযোগ, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত তার মাকে দেখে গতকাল রাতে বাসায় ফেরার পথে সুদীপ্ত হত্যা মামলার আসামি জাহেদ, হানিফের নেতৃত্বে আলমগীরকে বুকে ও পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।
আবুল হাসনাত বেলাল একাত্তর বাংলা নিউজকে অভিযোগ করে বলেন, ‘এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর তার অনুসারী তিনজন কর্মীকে মারধর করেছে মাসুমের লোকজন। বাঘঘোনা এমআর সিদ্দিকী গেট এলাকায় মাসুমের কর্মী ডেকচি শরীফের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা দোকানপাটও ভাংচুর করেছে৷ এ ঘটনার সিসিটিভি’র ফুটেজ আছে। কিছুদিন ধরে আমার কর্মীদের উপর মাসুমের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হামলা শুরু করেছে। যা আমি বারবার অভিযোগ করে আসছি।’
তবে অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম। একাত্তর বাংলা নিউজকে তিনি বলেন, বেলালের লোকজনই আলমগীরের উপর হামলা করেছে। আমার অনুসারী হামলা করেছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেটা বেলালের মনগড়া কথা। নিজেরা নিজেদের লোকের উপর হামলা করে আমার উপর দায় চাপাচ্ছে। আর বেলালের সাথে আমার কোনও বিরোধ নেই। আমি আওয়ামী লীগ করি। হামলার শিকার আলমগীর তো বেলালের ডিশব্যবসা করে। যাদের পুলিশ আটক করেছে, তাদের জিজ্ঞাসা করুক তারা আমাকে চিনে কিনা?’
পুলিশ জানায়, চট্টগ্রামের লালখান বাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা মাসুম ও বেলালের গ্রুপের মধ্যে প্রায় সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।