স্টাফ রিপোর্টারঃ
চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনীয়ায় সায়েরা বেগম ও ফরিদ উদ্দিনের তথা কথিত আদম বেপারী চক্রের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা পুর্ব পরিচিত বা আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে বিদেশে লোক পাঠানোর কথা বলে কৌশলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে থাকে আসলে তারা পরে কাউকেই আর বিদেশে পাঠাতে পারেনা আবার কাউকে জাল ভিসা দিয়ে বিপদে ফেলে থাকেন। ফলে ভিসার জন্য প্রদানকৃত টাকা ফেরত চাইলে শুরু হয় বাক-বিতন্ডা জগড়া ঝাটি এক পর্যায়ে থানা পুলিশ ও হামলা মামলার ঘটনাও ঘটে। আত্মসাৎ করা টাকার একটা অংশ স্থানীয় পাতিনেতা ও কতিপয় অসৎ পুলিশের কাছেও পৌছে যায় যার ফলে ওই চক্রের বিরুদ্ধে ভয়ে অনেকেই মুখ খুলতে সাহস করেনা আর যদিওবা কেউ কিছু বলার চেষ্টা করেন তবে তার জীবনে ও পরিবারের উপর নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন আর এসব বিষয় নিয়ে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ উল্টো সেই আদম বেপারীর পক্ষ নিয়ে নিরীহ মানুষগুলোকে ন্যয় বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত করে থাকেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন একটি ঘটনা নিয়ে কিছুদিন আগে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলনও করা হয়েছে এতেও কোন প্রতিকার না পেয়ে সুষ্ঠু বিচারের আশায় গত বুধবার (২১ অক্টোবর) চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজ) বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেছেন রাঙ্গুনীয়া উপজেলার ফকিরের ঘোনা গ্রামের সোবাহনের পুত্র মোঃ বেলায়েত আলী। ওই আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে একই এলাকার জানে আলমের স্ত্রী সায়েরা বেগম ও চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের আধুরপাড়া গ্রামের চুনচুইন্যার পুত্র মোঃ ফরিদ উদ্দিনকে।
লিখিত আবেদনের সুত্রে জানা যায় ২০১২ সালের মে মাসে স্থানীয় জানে আলমের স্ত্রী ছায়রা বেগম বেলায়ত আলীর পরিবারকে প্রলুব্ধ করে তার ছেলের শ্যালক রাসেল-কে দুবাই পাঠানোর বিষয়ে। ছায়রা বেগমকে সরল বিশ্বাসে বেলায়েত হোসেন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তিন দফায় ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা দেন। আগষ্ট মাসে ভিসা আসবে বলেও জানায়। ভিসা দিলে তা যাচাই করে দেখা যায় এটি একটি জাল ভিসা। আরো খবর নিয়ে জানতে পারেন, এই রকম ইতিপূর্বে ছায়রা বেগম এবং তার সঙ্গী ফরিদ উদ্দীন একইভাব প্রতারণা করেছে অনেকের সাথে। পরে টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে বেলায়েত আলীর পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করতে থাকে সায়েরা বেগম। তাদের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে যে কেউ কথা বললেই তাদের বিরুদ্ধেও থানায় মিথ্যা অভিযোগ বা জিডি করেন। আবেদনে বলা হয় ছায়রা বেগম ও তার সঙ্গী স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে গত ১১ অক্টেবর তাদের মারধর ও ঘরে ভাঙচুর চালায় এমনকি বেলায়েত আলীর থাকার ঘর ও ৫ একর জমি জবরদখল করে নেয় । এসব ব্যপারে আইনগত সহায়তা ও প্রতারণার বিষয়ে অভিযোগ দিতে অসংখ্যবার স্থানীয় থানায় গেলে পুলিশ তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। মামলা না নিয়ে ফিরিয়ে দেয় এমনকি পুলিশ উল্টো বাদীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করবে বলে হুমকি দেয়।