এম.এইচ মুরাদঃ
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় উপেজলা পরিষদ ক্যাম্পাসে অবস্থান করা ৫ জন সরকারি কর্মকর্তা ও ১শিশুসহ সহ ১০ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে ।
রবিবার (১০ মে) দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাজিব পালিত।
তিনি জানান, গত ৩ মে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে পরীক্ষার জন্য ১৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে ১০ জনের করোনা পজিটিভ আসার আজ সকাল জানিয়েছে বিআইটিআইডি কর্তৃপক্ষ।
করোনা শনাক্তদের মধ্যে ৮জনই উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসের বাসিন্দা। তৎমধ্যে ৫ জন সরকারি কর্মকর্তা। এর মধ্যে একজন নারী কর্মকর্তা, একজন নারী কর্মকর্তার গাড়ি চালক, একজন সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী, একজন সরকারি কর্মকর্তার দুই বছরের মেয়ে শিশু, তিনজন পুরুষ কর্মকর্তা উপজেলার বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত। বাকি দুজনের একজন রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার সৈয়দবাড়ি নিরিবিলি কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন এলাকার অপরজন দক্ষিণ নোয়াগাঁও এলাকার বাসিন্দা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রাজিব পালিত জানান, আক্রান্তদের কারো করোনা উপসর্গ নেই। তাই তারা নিজ নিজ বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকবেন।
এর আগে গত ২ মে রাঙ্গুনিয়ার প্রথম এক নারীর করোনা রোগী শনাক্ত হয়, তিনি উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে অস্থায়ী বুয়া হিসেবেও কর্মরত ছিলেন। তিনি ভূমি কর্মকর্তার বাসায়ও কাজ করতেন। একই ভবনে বসবাসের কারণে তার সংস্পর্শে আসা ১৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর আগে ৬ জনের টেস্ট রিপোর্ট আসে নেগেটিভ।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদুর রহমান বলেন, যাদের করোনা শনাক্ত হয়েছে, তাদের কারো করোনা উপসর্গ না থাকায় আগামীকাল তাদের স্যাম্পল পুনরায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। উপজেলা প্রশাসনের অভ্যন্তরে ১টি আবাসিক ভবনে করোনা শনাক্তের সংখ্যা বেশি থাকায় সেটি লকডাউনে থাকবে এবং করোনা উপসর্গ না থাকায় প্রত্যেকে নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থাকবেন। উপজেলার বাইরের দুজনের বাড়ি লকডাউন করা হবে।
ইউএনও বলেন, উপজেলা প্রশাসন লকডাউন করলে করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ড ব্যাহত হবে। তাই আপাতত উপজেলা প্রশাসন লকডাউনের চিন্তা করছি না।