স্টাফ রিপোর্টারঃ
বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনা ভাইরাস! পৃথিবী নামক গ্রহে বসবাস করা সারা বিশ্বের মানুষকে কাবু করে ফেলেছে। অধিকাংশ দেশ অচল হয়ে পড়েছে। লকডাউন করা হচ্ছে একের পর এক শহর। বাংলাদেশের পরিস্থিতিও ধীরে ধীরে আশঙ্কার দিকে যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে ২৪ জন আক্রান্ত ও দুজন মারা যাওয়ার ঘটনা মিডিয়ায় আসছে। বাংলাদেশে এখনো মহামারি আকার না ছড়ালেও দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলছেই।
এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের কঠোর সর্তকতা ও মোড়ে মোড়ে মাইকিং করে লোকজনকে গণজমায়েত এড়িয়ে ঘরে থাকতে নির্দেশনা দিচ্ছেন। এই মধ্যেও গত কয়েক দিনে চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১১৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এরা সবাই এয়ার অ্যারাবিয়ার একটি ফ্লাইটে ২১ মার্চ মধ্যপ্রাচ্য থেকে দেশে আসেন। এ নিয়ে চট্টগ্রামে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন মোট ৯৭৩ জন।
যদিও, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও সিএমপি পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। প্রশাসনের সতকর্তায় করোনা আতঙ্কে নগরীর ৭০ লাখ মানুষের বেশির ভাগই আজ বাসায় বন্দি। খুব কম লোকজন বের হচ্ছেন। বিশেষ করে নগরীর সব মোটেল মোটেল, পার্ক, বিয়ের কমিউনিটি সেন্টারগুলো বন্ধ করায় স্বস্তি রয়েছে কিছুটা। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাসা-বাড়ি থেকে লোকজন বের হচ্ছে না।
বলতে গেলে প্রশাসনের চাপে জনসমাগম একেবারে কমে গেছে। বাড়তি লোকজনকে জমায়েত হতে দেওয়া হচ্ছে না। নগরীতে বাস, সিএনজি অটোরিক্সাসহ কিছু যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে ওইসব যানবাহনের যাত্রী সংখ্যাও খুব কম দেখা গেছে।
চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি মিয়া জানিয়েছেন, একটি আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর ও জাহাজ আউট গোয়িং এর আরেকটি বন্দর থাকায় করোনা ভাইরাস ঝুঁকিতে রয়েছে চট্টগ্রাম। তাই সরকারি নির্দেশনায় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো আলাদাভাবে করোনা ঝুঁকি মোকাবেলায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। নগরীর সব পর্যটন কেন্দ্র ও হোটেল লকডাউন করা হয়েছে। দুইটি হোটেল করোনা চিকিৎসায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে জনসাধারণের চলাচলে বেশ কড়াকড়ি বাড়ানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নভেল করোনা ভাইরাস নিয়ে চট্টগ্রামের প্রশাসন খুব কঠোর নজরদারি করছে। জনগণকে আতঙ্কিত হবার কোন কারণ নেই। সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নসহ সব ধরণের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। মানুষ যেনো নিয়ম মেনে বসবাস করেন।