মোঃ ওমর ফারুকঃ
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী খাল ,যার মিতালী কর্ণফুলি নদীর সাথে। পশ্চিম শাকপুরার আংশিক আর চরখিজিরপুরের জনসাধারণের চট্টগ্রাম শহরে যাওয়া আসার জন্য এই বোয়ালখালী খাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। চরখিজিরপুর টেক্সঘর ঘাট হতে ৩০ মিনিটের মধ্যেই অতি সহজে চট্টগ্রাম শহরের চাক্তাই ঘাটে পৌছানো যায়। সেই জন্যই শাকপুরা, চরকানাই, পটিয়ার কোলাগাঁও’র আংশিক আর চরখিজিরপুরের সিংহভাগ মানুষের চট্টগ্রাম শহরের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম হল বোয়ালখালী খাল হয়ে কর্ণফুলির বুক ছিঁড়ে যাওয়া।
কিন্তু দুঃখের বিষয়, এখানে কোনভাবে সাস্থ্যবিধি মানছেন না যাত্রী এবং নৌ চালিত টেম্পো চালকরা। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই, গাদাগাদি করে লোক নেয়া এর নিত্যদিনের চিত্র। যদিও সরকার থেকে বার বার সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে যাতায়াত করতে বলা হলেও, বোয়ালখালী নৌযান সমিতি থেকে কোন রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। টেম্পুতে করে যাতায়াতের সময় যাত্রীদের জন্য জীবাণু নাশক স্প্রে কিংবা নেই কোন সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার বাধ্যবাদকতা। এতে করে এই পথে যাতায়াতকারী যাত্রীরা এবং বিশেষ করে বোয়ালখালীর পশ্চিম গোমদন্ডি ইউনিয়নের মানুষের মাঝে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ার আশংকা বেশি দেখা দিয়েছে। এই সব বিষয় যেন দেখার কেউ নেই, সঙ্গে যাত্রীরাও তেমন সচেতন নেই। এই সব বিষয় থেকে উত্তরনের জন্য টেম্পু মালিক সমিতির পাশাপাশি যাত্রীদেরও অধিকতর সচেতন, জীবানুনাষক স্প্রে, মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতকরনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা আশা প্রকাশ করেছেন প্রশাসন এই ব্যাপারে সত্ত্বর ব্যাবস্হা গ্রহন পূর্বক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন।