এস.এম. মাঈন উদ্দীন রুবেলঃ
চট্টগ্রাম নগরীর বুকে গাছ-গাছালি বেষ্টিত পাহাড় চট্টলার ফুসফুস নামে খ্যাত ঐতিহাসিক প্রাকৃতিক দৃশ্যের সিআরবি। যার মাঝে রয়েছে বহু মুক্তিযোদ্ধার সমাধি, শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি বিজড়িত ভূমি।এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে বহু জ্ঞানী-গুনী, কবি, সাহিত্যিকদের আত্মা ও ভালোবাসা। লোকজনের বৈকালিক হাটাহাটি ও বিনোদন নেয়ার একটি প্রসিদ্ধ জায়গা। কবি, সাহিত্যিক,লেখক,গবেষক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের পদচারণায় সময়ে সময়ে মুখরিত থাকে সেই শান্ত মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ। বেসরকারি হাসপাতাল ও কলেজ, নার্সিং ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণে সেই পরিবেশ হবে অশান্তি। হারিয়ে যাবে মুক্ত-চিন্তা, ভাবনা,সুধীজন ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের আড্ডা। ধ্বংস হবে পাহাড় বেষ্টিত গাছ-পালা ও পশুপাখি। অক্সিজেন অভাবে ভোগান্তিতে পরবে সুস্থ-সামাজিকভাবে প্রাকৃতিক হাওয়ায় বেঁচে থাকা মানুষ ও জীব-জন্তু।
থাকবে না পশু-পাখীর কলতান, কিচিরমিচির শব্দ, জীব-জন্তু ও কীটপতঙ্গের বিচরণ। কারণ এই চট্টগ্রাম নগরীর মধ্যখানে অবস্থিত এই সি আর বি পুরো নগরীর অক্সিজেন, যাকে উজাড় করা মানে চট্টগ্রামকে পঙ্গু করা, চট্টগ্রামের অস্তিত্বে হাত দেয়া। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার কবিতায় চয়ন করে গেছেন, “দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর, লও যত লৌহ লোষ্ট্র কাষ্ঠ ও প্রস্তর হে সভ্যতা”!
বিশ্বের ফুসফুস আফ্রিকার “আমাজান বন” আর চট্টগ্রামের ফুসফুস বলা হয় সি আর বি।
তাই সি আর বি রক্ষা করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব। এমন ক্ষতি চট্টগ্রামের লোকজন মেনে নিতে পারে না।
হোক না আরো হাসপাতাল চট্টগ্রাম কিন্তু সি আর বি তে নয় অন্য কোথাও। এতে চট্টগ্রামের মানুষ ধনী হোক আর গরিব হোক উপকৃত হবে কিন্তু সি আর বি কে ধ্বংস করে নয়।