স্টাফ রিপোর্টারঃ
নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে আগে থেকে ১২টি আইসিইউ শয্যা থাকলেও রোগীর চাপে নতুন করে যুক্ত করা হয় আরও ১২ শয্যার আইসিইউ। বৃহস্পতিবার সকালে চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভর্তি করানো হয় ৬ রোগীকে। অল্প সময়ের মধ্যেই বাকি ৬টি শয্যাও ভর্তি হয়ে যায় রোগীতে।
অন্যদিকে, সাধারণ শয্যা থাকলেও চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এতদিন ছিল না কোভিড রোগীদের জন্য আইসিইউ শয্যা। তবে সংকটময় সময়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চালু করা হয় নতুন দুই আইসিইউ শয্যা। চালুর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই দুই রোগীকে ভর্তি করা হয় সেই আইসিইউতে। সবমিলিয়ে এ দুই হাসপাতালে মাত্র ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ১৪টি বাড়তি শয্যা পূর্ণ হয়ে যায় রোগীতে।
রাতে পার্কভিউ হাসপাতালে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ডা. এটিএম রেজাউল করিম বলেন, সংকট মোকাবেলায় অনেকটাই দ্রুতগতিতেই ১২টি আইসিইউ শয্যা করোনা রোগীদের জন্য বাড়ানো হয়। আইসিইউ বাড়ানোর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন স্থান থেকে যোগাযোগ শুরু করে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নতুন এই ইউনিটও রোগীতে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। পার্কভিউ হাসপাতাল করোনা সংক্রমণ শুরু থেকেই করোনা রোগীদের সেবা দিয়ে আসছে।
চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, সাধারণ শয্যার পাশাপাশি দুই শয্যার আইসিইউ বাড়ানো হয়েছে। শয্যা বাড়ানোর কিছুক্ষণ পরই দুটোতেই রোগী ভর্তি করানো হয়। আরও দুইটি শয্যা বাড়ানো হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আইসিইউ শয্যাতো দূরের কথা, করোনা রোগীদের চিকিৎসায় সাধারণ শয্যাও খালি নেই চট্টগ্রামের কোন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে। প্রতিটি হাসপাতালেই রোগীর চাপে টইটুম্বর হয়ে আছে। সাধারণ শয্যা ও আইসিইউ শয্যার জন্য গেল কয়েকদিন ধরেই রোগীর স্বজনদের হাসপাতালে হাসপাতালে ছোটাছুটি করতে হচ্ছে। কিন্তু অতিরিক্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর চাপ হাসপাতালে বাড়ার কারণে শয্যা সংকট তৈরি হয়েছে। যা নিয়ে এক প্রকার উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য বিভাগসহ হাসপতাল সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে শয্যা সংকট তৈরি হওয়ায় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নতুন করে আরও ১৮ শয্যার নতুন আরেকটি করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। একই সাথে নতুন করে ৮ শয্যার হাই ডিপেন্ডেনসি ইউনিট (এইচডিইউ) বসানোর কাজ চলছে। যা শীঘ্রই চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। নতুন করে চালুর অপেক্ষায় থাকা এসব শয্যা নিয়ে মোট শয্যা দাঁড়াবে ১৮৫টি।
চট্টগ্রামের জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম বলেন, রোগী বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে ১৮ শয্যার একটি করোনা আইসোলেশান ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। তাতে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থাও রয়েছে। এছাড়া আরও ৮ শয্যার এইচডিইউ চালু করা হবে। যা আগামী সপ্তাহে চালু করা হতে পারে।