মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামের পার্কভিউ হাসপাতালের বিরুদ্ধে গলাকাটা বিল দেওয়ার অভিযোগ


প্রকাশের সময় :১৮ জুলাই, ২০২০ ৮:৩৫ : পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

চট্টগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালের বিরুদ্ধে দিন দিন অভিযোগ বেড়েই চলেছে। অনিয়ম ও রুগীর প্রতি অবহেলার অভিযোগের পর এবার উঠেছে গলাকাটা বিল করার অভিযোগ।

শুক্রবার (১৭ জুলাই) পার্কভিউ হাসপাতালের বিরুদ্ধে বিল সংক্রান্ত এমন অভিযোগ তোলেন রবিউল হোসেন ইমন নামের এক ব্যক্তি। তিনি জানান, তার এক আত্মীয় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান চট্টগ্রাম শহরের পার্কভিউ হসপিটালে। বাসা থেকে হসপিটাল যাওয়া পর্যন্ত ভেবেছিলেন বিল হয়তো দেড় থেকে দুই লাখের ভেতর থাকবে। কিন্তু হসপিটালে যাওয়ার পর বিল দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর বলার মতো কিছু ছিলোনা।

রবিউল হোসেন বলেন, ১২ দিনে ৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা বিল করা হয়েছে যা একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের জমাতে ১৫-২০ বছর লেগে যায়। ৪ লাখ টাকা দেওয়ার পর আরো ২ লাখ ৯৭ হাজার পাবে ওরা। ওখান থেকে কিছু কমানো যায় কিনা তার চেষ্টা চলছে।

‘এরপর সকাল ৮ ঘটিকার দিকে তিনি বলেন, রাত আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জাবেদুল আলম মাসুদের চাপে তারা দেড় লাখ টাকা ছাড় দেয়। কিন্তু এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার কারণে হাসপাতাল ম্যানেজমেন্ট থেকে রোগীর আত্মীয়স্বজকে বিভিন্ন ধরনের কথা শুনায় এবং পোস্ট ডিলেট করার জন্য বলে।’

এই গলাকাটা বিলের প্রতিবাদ জানিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে বলেন, পার্কভিউ হসপিটাল নাকি হোটেল? কক্সবাজারের রয়েল টিউলিপ রিসোর্ট এর স্টুডিও রুমের ভাড়া বর্তমানে সর্বসাকুল্যে দৈনিক ৮০০০ টাকার মতো। অন্যদিকে নগরীর পাঁচলাইশে পার্ক ভিউ হসপিটালে শুধু ১২ দিনের বেড চার্জ হচ্ছে ১৩২০০০ টাকা + ২০% সার্ভিস চার্জ = ১৫৮০০০ টাকা। (বিলের বাকি সব বাদ দিলাম) এ ব্যাপারে পার্কভিউ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে মুঠফোনে যোগাযোগের চেস্টা করা হলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

এর আগে জুলাই এর শুরুতে দুই দফায় চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ হোসেন। একদিনের ব্যবধানে ফের অসুস্থতা বেড়ে গেলে তাকে নিয়ে আসা হয় একই হাসপাতালে। কিন্তু তাকে ভর্তি করাতে গড়িমসি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এক পর্যায়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগেই তার মৃত্যু হয়। তিনি হার্টের রোগী ছিলেন।

ট্যাগ :