মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামের পটিয়ায় হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ পরিবহণ সেক্টর !


প্রকাশের সময় :১৬ জুন, ২০২০ ৫:২০ : পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

চট্টগ্রামের পটিয়ায় ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির চাঁদাবাজি ও হয়রানির কারণে দক্ষিণ চট্টগ্রামের পুরো পরিবহণ সেক্টর জিম্মি হয়ে পড়েছে। হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজির কারণে জরুরি প্রয়োজনে রোগী নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে হাসপাতালে যেতেও ভয় পাচ্ছে পরিবহণ শ্রমিকেরা। দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে শাক-সবজি নিয়ে নগরীতে যাওয়ার সময় হাইওয়ে পুলিশ সড়কে গাড়ি আটকে রেখে চাঁদা নেয়। যার কারণে কৃষকের উৎপাদিত শাক-সবজি কিনতে নগরী থেকে ব্যবসায়ীরা দক্ষিণ চট্টগ্রামে আসতে পারছে না, ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকেরা। প্রতিদিন গাড়ি আটক ও ছাড়ার নামে লক্ষাধিক টাকা করে টাকা নেয়া হলেও উক্ত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয় না বলেও হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান। অভিযোগ উঠেছে হাইওয়ে পুলিশ ব্যাটারি চালিত ছোট খাট রিক্সা নিয়ে ও অটোরিকশা জরুরি প্রয়োজনে বের হলেও হাইওয়ে পুলিশ রাস্তায় চালককে মারধর, চাঁদাবাজি ও নির্যাতন চালায়।

অটোরিক্সা আটকে রেখে প্রতি অটোরিক্সা থেকে ৭ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা নগদ নিয়ে গাড়িগুলো ছেড়ে দেয়। একইভাবে সিএনজি টেম্পো ও টেঙ্গুিলো রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে ১২ হাজার থেকে ১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে গাড়িগুলো ছেড়ে দেয়। পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ও ট্রাকিফ পুলিশও বিব্রত অবস্থায় পড়েছেন। হাইওয়ে পুলিশের গণহারে চাঁদাবাজি ও হয়রানির বিষয়টি জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপিকেও পরিবহন শ্রমিক ও মালিকের পক্ষ থেকে এবং তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বলে পরিবহণ সংগঠনের নেতারা জানান।

জানা গেছে, পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিমল চন্দ্র ভৌমিক যোগদান করার পর থেকে পরিবহণ সেক্টরে জিম্মি করে গণহারে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ বিমল চন্দ্র ভৌমিক যোগদানের পর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে একটি মাদকের মামলাও করতে পারেনি। ধরতে পারেনি কোন অপরাধীকেও। অথচ এর আগে ক্রসিং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এ.বি এম মিজানুর রহমান দায়িত্বে থাকাকালীন প্রতিদিন মাদক, ইয়াবাসহ আটক, চুরি, ডাকাতির সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে সারা দেশ জুড়ে প্রসংশা কুড়িয়েছিলেন। বর্তমান ইনচার্জ আসার পর রাস্তা থেকে গরিব অসহায় মানুষের সিএনজি ও রিকশা ধরে নিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়া ছাড়া কোনো কাজও করছে না। প্রতিদিন গড়ে পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশ শতাধিক ব্যাটারি চালিত রিকশা ও সিএনজি ধরে নিয়ে ৭ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে ছেড়ে দেয়। এভাবে প্রতিদিন প্রায় অর্ধশতাধিক গাড়ি আটক করে কয়েক লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়। 

হাইওয়ে নাম দিয়ে শুধু মাত্র ভেল্লাপাড়া ক্রসিং থেকে মনশা বাদামতল পর্যন্ত হাইওয়ের দোহাই দিয়ে এই চাঁদাবাজি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। অথচ হাইওয়ের অন্য জায়গাগুলোতে দেদারসে চলছে সব রকমের যানবাহন। এতে পরিবহন নিয়ে মহা ঝামেলায় পড়েছে পটিয়া, আনোয়ারা সহ অত্র এলাকার জনসাধারণ ও সিএনজি অটোরিক্সা ও টেম্পো চালকরা। আর এই চাঁদাবাজির কারণে যানবাহন না পাওয়াতে নতুন ব্রিজ এলাকায় সবসময় এই এলাকায় যাত্রীদের হয়রানির শিকার হতে হয় এবং ডাবলের উপর গাড়ি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।

এ বিষয়ে পটিয়া পৌরসভা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন আমাদের কাছে অভিযোগ আসে হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে, যেখানে রিক্সা চালক ও সিএনজি চালকদের সরকার মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন সেখানে হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ গরীব অসহায় মানুষদের কাছ থেকে গণহারে চাঁদাবাজিতে করে যাচ্ছেন। এছাড়া মোটা অংকের মাসিক মাসোহারার বিনিময়ে টোকেন দিয়ে বেশ কিছু সিনএনজি অটোরিক্সা চললেও তারা যাত্রীদের কাছ থেকে তিন থেকে চারগুণ ভাড়া আদায় করে থাকে। হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজির কারণে পরিবহণ শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে তাই এই দুর্নীতিবাজ হাইওয়ে ইনচার্জের অপসারণ চান পরিবহণ শ্রমিকেরা।

এ বিষয়ে পটিয়া সিএনজি অটোরিকশা সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ বদিউল আলম বলেন,হাইওয়ে পুলিশ প্রতিদিন অকারণে সিএনজি টেক্সী গুলো ধরে নিয়ে ৭ হাজার, ১৫ হাজার, ২০ হাজার টাকা করে নিয়ে ছেড়ে দেয় এমনকি একটি গাড়ি মাসের মধ্যে দুই তিনবারও আটক করে এভাবে টাকা নেয়। একজন সিএনজি চালক মাসে কয় টাকা আয় করতে পারে। হাইওয়ে পুলিশের গণহারে চাঁদাবাজির বিষয়টি আমরা জাতীয় সংসদের হুইপ ও পটিয়ার এমপি মহোদয়কে অভিযোগ করে জানিয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। চাঁদাবাজি দিনদিন আরও বেড়ে চলেছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ বিমল চন্দ্র ভৌমিকের সাথে যোগাযোগ করতে পটিয়া হাইওয়ে পুলিশ পাঁড়িতে সরাসরি যাওয়া হলেও তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি। তবে নাম না প্রকাশ করার শর্তে ঐ হাইওয়ে পাঁড়ির এক উপ-পরিদর্শক পরিবহণ শ্রমিকদের অভিযোগের কথা স্বীকার করে বলেন, টাকা পয়সা দিয়ে সব কিছু হয় না, লোকাল জনগণ ও লোকাল জনপ্রতিনিধিদের কথাও শুনতে হয়। এ বিষয়ে ইনচার্জ মহোদয় ভাল বলতে পারবেন বলে তিনি জানান।

ট্যাগ :