স্টাফ রিপোর্টারঃ
চট্টগ্রামের পটিয়ার কোলাগাঁও ইউনিয়নে স্বামীকে আটকে রেখে এক নববধূকে সংঘবদ্ধভাবে গণধর্ষণের ঘটনায় চার যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার ৭ দিন পর রবিবার (১৪ জুন) ওই নারী পটিয়া থানায় উপস্থিত হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। তবে মামলা দায়েরের তিন দিনেও অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
আসামিরা হলেন-কোলাগাঁও ইউনিয়নের খায়ের উল্লাহ সওদাগরের বাড়ির মৃত আবুল হোসেনের ছেলে হান্নান (৩২), একই ইউনিয়নের আজিজুল হক মেম্বারের বাড়ির বাদশা মিয়ার ছেলে মন্টু (৩০), ফোরকান মাঝির ছেলে জুয়েল (২৮) এবং ছাত্তারের ছেলে মিন্টু (৩৩)।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন জানান, গত ৭ জুন স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে ওই নারী ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় গত রবিবার (১৪ জুন) ওই নারী থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
মামলার এজাহারে ওই নারী অভিযোগ করেন, গত ৪ জুন পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। বিয়ের ৩ দিন পর গত ৭ জুন বাপের বাড়ি থেকে স্বামীকে নিয়ে বোয়ালখালী শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন। রাত পৌণে ৯টায় কোলাগাঁওয়ের উত্তর পাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসার সামনে পৌঁছালে হঠাৎ চার যুবক তাদের পথরোধ করে। তারা তাকে টেনেহিঁচড়ে চিড়িঙ্গার পুকুর পাড় নামে একটি জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে স্বামীকে আলাদা করে আটকে রেখে ওই চার যুবক ওই নারীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। পরে রাত ১২টার দিকে তাদের সেখানে ফেলে রেখে চার ধর্ষক চলে যায়।
এজাহারে আরও বলা হয়, লোকলজ্জার ভয়ে প্রথম দিকে তারা বিষয়টি গোপন রেখেছিল। কিন্তু এরপরও লোকমুখে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে আত্মীয়দের পরামর্শে রবিবার (১৪ জুন) থানায় মামলা দায়ের করেন।