মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামের জহুর হকার্স মার্কেটে দোকান ভাড়া ৭০ শতাংশ মওকুফের দাবি


প্রকাশের সময় :১৬ জুলাই, ২০২০ ৮:৪০ : পূর্বাহ্ণ

মোঃ রায়হান উদ্দিনঃ

চট্টগ্রাম নগরীর পৌর জহুর হকার্স মার্কেটে করোনকালীন সময়ে ৭০ শতাংশ দোকান ভাড়া মওকুফের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ভাড়াটিয়া দোকানদার ও কর্মচারীরা। গতকাল (১৫ জুলাই) সকালে তারা এই বিক্ষোভ করেন। এসময় দোকানদার এবং কর্মচারীরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন। বিক্ষোভ চলাকালে মার্কেটে আসা ক্রেতাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, করোনাকালীন সময়ে গত এপ্রিল ও মে মাসের পুরো সময়জুড়ে মার্কেট বন্ধ ছিল। এছাড়া গত ১ জুন থেকে সীমিত পরিসরে মার্কেট চালু হয়। তবে মার্কেটে বেচাবিক্রি একেবারে কম। এই অবস্থায় সম্পূর্ণ ভাড়া এবং কর্মচারীদের বেতনের টাকাও উঠছে না। অনেক দোকানদার মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাই আমাদের একটাই দাবি, গত এপ্রিল ও মে মাসের পুরো ভাড়া এবং করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ৭০ শতাংশ দোকান ভাড়া মওকুফ করতে হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পৌর জহুর হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কাশেম একাত্তর বাংলা নিউজকে বলেন, করোনাকালীন গত এপ্রিল ও মে মাসে মার্কেট সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। তাই আমরা ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে দোকানের মালিকদের সাথে আলোচনা করে দোকান ভাড়া এপ্রিল ও মে মাসের জন্য অর্ধেক কমিয়েছি। অর্থাৎ ৫০ শতাংশ ভাড়া পরিশোধ করতে হবে মর্মে প্রতিটি দোকানে নোটিশ পাঠিয়েছি। একইসাথে গত জুন থেকে আগামী অক্টোবর পর্যন্ত টানা ৫ মাস ২০ শতাংশ দোকান ভাড়া মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অর্থাৎ টানা ৭ মাসে ২০০ ভাগ ভাড়া মওকুফ করেছি। অথচ আশপাশের মার্কেটগুলোতে খবর নিলে আপনারা দেখবেন- আমাদের মতো কেউ ছাড় দেয়নি। আমরা টানা ৭ মাস ছাড় দিয়েছি।

আশপাশের মার্কেটে ছাড় দিয়েছে সর্বোচ্চ ৩ মাস পর্যন্ত। কিন্তু ভাড়াটিয়া এবং কিছু সংখ্যক কর্মচারী নেতা বহিরাগতদের নিয়ে মার্কেটে বিক্ষোভের নামে বিশৃংখলা সৃষ্টি করেছে। তিনি আরো বলেন, আমরা দোকানের মালিকদের সাথে কথা বলেছি, কোনো ভাড়াটিয়া যদি ভাড়া এবং কর্মচারীদের বেতন দিয়ে ব্যবসা করতে না পারেন তাহলে ওনি দোকান ছেড়ে দিবেন। মালিক তো চাইলে জোর করে কাউকে দিয়ে ব্যবসা করাতে পারবেন না। তাই গুটিকয়েক ভাড়াটিয়া কিংবা কর্মচারী নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য সাধারণ ব্যবসায়ীদের দোকান খুলতে বাঁধা দিতে পারেন না। আর কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজেই একজন ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ী আবার কর্মচারীদের প্রতিনিধিত্ব করেন। একইসাথে তিনি সিটি কর্পোরেশনেও চাকরি করেন। ভাড়ার বিষয়ে কথা বলবেন ভাড়াটিয়া এবং দোকান মালিক। কিন্তু বিভিন্ন দোকানের কর্মচারী এবং বহিরাগতদের নিয়ে তারা স্লোগান দেয়ার কারণে মার্কেটে আগত ক্রেতাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

পৌর জহুর হকার্স মার্কেট দোকান কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বড়ুয়া বলেন, আমি কর্মচারী সমিতির প্রতিনিধিত্ব করলেও আমার নিজের ভাড়া দোকান রয়েছে। করোনাকালীন গত এপ্রিল ও মে দুই মাসে আমাদের মার্কেট বন্ধ ছিল। আমরা সমিতি বরাবর ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ীদের স্বাক্ষর নিয়ে ভাড়া মওকুফ করার অনুরোধ করে চিঠি দিই। আমাদের দাবি ছিল, এপ্রিল ও মে মাসের পুরো ভাড়া মওকুফ এবং করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যেন ৭০ শতাংশ ভাড়া মওকুফ করা হয়। তবে পরে আমরা সেই অবস্থান থেকে সরে এসে ৫০ শতাংশ ভাড়া মওকুফের দাবি জানাই। কিন্তু হঠাৎ করে ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধান্ত দিলেন এপ্রিল ও মে দুই মাসের অর্ধেক মওকুফ এবং জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ২০ শতাংশ মওকুফ করা হবে। তাই আমরা সর্বস্তরের ভাটাটিয়া ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা বিক্ষোভ করেছি।

ট্যাগ :