এম.এইচ মুরাদঃ
১ কেজি নয়, পেঁয়াজের পুরো ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০ টাকায়। বিশ্বের নানা দেশ থেকে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ডলারে কেনা পেঁয়াজ পচে যাওয়ায় এমন দুরবস্থা। এমনকি টাকা দিয়ে গাড়ি ডেকে এনে ফেলেও দেয়া হচ্ছে পচা পেঁয়াজ। এতে কোটি কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছেন আমদানিকারকরা।
খাতুনগঞ্জের প্রতিটি আড়তের সামনে পড়ে আছে শত শত বস্তা পচা পেঁয়াজ। রপ্তানিকারক দেশে জাহাজ ভর্তি করার সময় কন্টেইনার সংক্রান্ত অসচেতনতার কারণে পচে যাচ্ছে পেঁয়াজ। এতে কোটি কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
জারিফ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের আমদানিকারক মঞ্জুর মোরশেদ বলেন, পচে যাচ্ছে কারণ মাল ঠিকভাবে ডেলিভারি হচ্ছে না। তারপর শীপের মধ্যে তাপমাত্রার সমস্যা হচ্ছে।
নজরুল এ্যান্ড সন্স এর আমদানিকারক মামুনুর রশিদ বলেন, ২০ শতাংশ টাকাও আমাদের রিকভারি হবে না। কিছু কিছু পেঁয়াজ একদম ফেলে দিতে হচ্ছে একটাকাও পাওয়া যাচ্ছে না।
একেতো গ্যাঁজ ও পানি ঝরে পচে যাচ্ছে। তার ওপর ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। খাতুনগঞ্জে ৫০ কেজির ওজনের বস্তার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০ থেকে ১৫ টাকায়।
কয়েজন পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বলেন, ভাল পেয়াজ যদি আমরা বিক্রি করি ৪০ থেকে ৫০ টাকা সেখানে আমরা বিক্রি করছি ১৫ টাকা, ১০ টাকা, ৫ টাকা। কিছু বস্তা হিসেবে বিক্রি করে দিছি, কিছু ফেলে দিছি। পচা পেঁয়াজের কারণে এখানে গন্ধ ছড়াচ্ছে। পচা যাওয়া পেঁয়াজ ফেলে দিতে হচ্ছে, এই পেঁয়াজ ফেলতেও টাকা লাগতেছে।
এ অবস্থায় ক্ষতি সামাল দিতে সরকারের তদারকি বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ী নেতাদের।
খাতুনগঞ্জ হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী আড়তদার সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মিন্টু বলেন, কোটি কোটি টাকা লোকসান, এখন কিন্তু সরকারের মাথা ব্যথা নেই। প্রশাসনেরও মাথা ব্যথা নেই, তারা এটা দেখভাল করছে না।’
ভারত রপ্তানি বন্ধের পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয় পেঁয়াজ। পাকিস্তান ও মিয়ানমারসহ নানা দেশের পেঁয়াজে ধরছে পচন।