এম.এইচ মুরাদঃ
‘কর্ণফুলীসহ দেশর অইন্য নদীরে বাঁচাই বাল্লাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী কমিশন গঠন গইরজ্যি। কিন্তু সরকারর অঙ্গে আঁরার নদী ফারর মাইনষ্যত্বেও সচেতন অন ফরিবু। নইলে কর্ণফুলী বরবাদ যাইবু। কর্ণফুলী বাঁচিলে বন্দর বাঁচিবু, বন্দর বাঁচিলে দেশের অর্থনীতি বাঁচিবু। এতল্লাই প্রধানমন্ত্রীর হতায় জনসচেতনতা সৃষ্টির লায় সাম্পান উৎসব গরিরদ্যে।’
শনিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত সাম্পান উৎসবের দ্বিতীয় পর্বে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় এসব কথা বলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
তিনি বলেন, কর্ণফুলীর ফারত প্রায় তিনশ’র বেশি কারখানার শিল্প বর্জ্য, এই শরর প্রায় ৬০ লাখ মাইনস্সর বর্জ্য, পলিথিন, প্লাস্টিক, ফইত্ত দিন নদীত পড়ে বর্তমানে নদীর প্রায় ৭ মিটার গভীরতা নষ্ট অই গেইয়্যে। আঁরা জানি বা ন জানিয়ারে এই নদীরে গলা টিপে মারি ফেলাইর।
কর্ণফুলী নদীর নদীর দক্ষিণ পাড় থেকে উত্তর পাড় পর্যন্ত এ সাম্পান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে ‘শিকলবাহা মোতোয়াল্লি শাহ ব্লক পাড়’। শাহ আহমদ মাঝির নেতৃত্বে ১০ জন মাল্লার দলটি অংশ নেয়। ১০টি দল নিয়ে অনুষ্ঠিত এই সাম্পান খেলায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে ইছানগর বাংলাবাজার ঘাট সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি। তৃতীয় হয়েছে মাদার্সা পাড়া এক নম্বর গেইট চরপাথরঘাটার মাঝি দল।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, কর্ণফুলী নদীকে দখল ও দূষণের কবল থেকে রক্ষা করতে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই সাম্পান খেলার আয়োজন করা হয়েছে। হাজার বছর ধরে নদীমাতৃক এই বাংলাদেশে নৌকাবাইচ, সাম্পান খেলা শুধু খেলা নয়, এই প্রতিযোগিতা সংগ্রামের প্রতীক হয়ে আমাদের জীবনে মিশে রয়েছে।
নগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মহানগর আওয়ামী লীগের শফর আলী, শেখ মোহাম্মদ ইসহাক, নোমান আল মাহমুদ, মসিউর রহমান, চন্দন ধর, এডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মোহাম্মদ হোসেন, মো. ইসা, আবদুল মান্নান ফেরদৌস, প্রতিযোগিতার পৃষ্টপোষক নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম রিপোর্টাস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক ও লেখক আলিউর রহমান, সাবেক কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, শৈবাল দাশ সুমনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।