এম. নুরুল ইসলাম (আনোয়ারা প্রতিনিধি):
আনোয়ারার পশ্চিম বরুমচড়ার ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ বরুমচড়া-বটতলী রুস্তমহাট হাজারী সড়ক। দীর্ঘ দিন ধরে সড়কটি সংস্কার না করায় সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। ফলে এই সড়ক যেন ‘মরণ ফাঁদে’ পরিণত হয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে সড়কটির উন্নয়ন কাজ পরিচালনার টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলেও উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তদারকির অভাবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বর্ষার আগে কাজ শুরু না করায় স্থানীয়রা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, বটতলী রুস্তম হাট থেকে বরুমচড়া সওদাগর দীঘির পাড় পর্যন্ত হাজারী সড়কের ৬ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে সড়কের বিভিন্ন অংশে ২ কিলোমিটারে বেশি অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে পানি জমে আছে। ফলে যানবাহন চলাচলের ভোগান্তির পাশাপাশি স্থানীয়দের স্বাভাবিক চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। এতে স্থানীয়দের মাঝে দিনদিন ক্ষোভ বেড়ে চলছে। বরুমচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন আমজাদী জানান, পশ্চিম বরুমচড়াবাসীর যাতায়াতের জন্য হাজারী সড়কটি একমাত্র মাধ্যম। এ সড়কটি দিয়ে বরুমচড়া ইউনিয়নের ৩, ৪, ৫, ৬, ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডের ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ যাতায়াত করেন। তাই গুরুত্বের দিক বিবেচনা করে সড়কটির সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানাচ্ছি।
বরুমচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন চৌধুরী জানান, হাজারী সড়কটি এখানকার জনসাধারণের চলাচলের অন্যতম রোড। বর্তমানে বটতলী রুস্তম হাট থেকে পশ্চিম বরুমচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত এই সড়কটির বেহাল দশা। দীর্ঘদিন ধরে এটি সংস্কার না করায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষ সড়কটি মেরামতের দাবি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে আসেন। বর্তমানে এই সড়ক দিয়ে এলাকার ৩০ হাজারেরও অধিক মানুষের যাতায়াত ছাড়াও প্রতিদিন ২ হাজারেরও বেশি পোশাক কারখানার শ্রমিক যাতায়াত করেন।
তিনি আরো জানান, সড়কটি মেরামতের ব্যাপারে উপজেলা সমন্বয় সভায় একাধিকবার দাবি জানানোর পর টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। কিন্তুসংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এখনো কাজ শুরু করেননি। তাই দ্রুত কাজ শুরু করার দাবি জানাচ্ছি।
আনোয়ারা উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী তসলিমা জাহান জানান, সড়কটির টেন্ডার কাজ শেষ হয়েছে। অল্প কিছু দিনের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে।