স্টাফ রিপোর্টারঃ
চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকায় বহদ্দারবাড়ীর চেয়ারম্যান ঘাটায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ঐ এলাকার মরহুম সিরাজউদ্দোলার পরিবার ৫০ বছর ধরে নিজ জমিতে ঘর নির্মান করে বসবাস করে আসছিল। কিন্তু এলাকার চিহ্নিত ভূমিদূস্যদের অবৈধ বাধা, চাঁদাদাবী ও হয়রানিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ১২ই মে মঙ্গলবার চান্দগাওঁ জোনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বরাবর এ ব্যাপারে একটি অভিযোগও দাখিল করেছেন বলে জানা গেছে ভূক্তভোগী পরিবারের সূত্র থেকে।
লিখিত এই অভিযোগে অভিযোগকারী আক্তার বেগম উল্লেখ করেন, দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে স্বামীর ভিটায় বসবাস করে আসছি আমি এবং আমার পরিবার। বিগত ১০ বছর পূর্ব থেকে উক্ত ঘরের ভিতর বন্যার পানি আর বৃষ্টির পানিতে বাড়ীঘর নিমজ্জিত থাকার কারণে সংস্কারের প্রয়োজন পড়েছে। যেকারনে এলাকার গন্যনাম্য ব্যক্তিবর্গের অনুমতি সাপেক্ষে বসবাসকৃত জায়গায় উঁচু করে ঘর নির্মানের কাজ করতে থাকলে পার্শ্ববর্তী আবুল কালাম আযাদ, কুতুব উদ্দীনসহ আক্তার বেগমের জায়গায় ঘর নির্মান কাজে অবৈধভাবে বাঁধা, চাঁদাদাবী, ও প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে আসছিল।
এরই জের ধরে কতুব উদ্দীন, আবুল কালাম আযাদ, ও তার ভাগিনা মোহাম্মদ ইমন, কতুবের ছেলে তুহিন, দিলুয়ারা, মোহাম্মদ রাখিব, কতুবের স্ত্রী পারভীন আক্তারসহ স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসীরা আজ সন্ধায় ইফতারের পূর্বমুহূর্তে আক্তার বেগমের বসত ভিটায় মিস্ত্রি নিয়ে সংস্কারের কাজ করা অবস্থায় হঠাৎ করে আক্তার বেগমের ছেলে রাসেল কে এলোপাথাড়ি ইট মেরে আহত করে বেহুস করে ফেললে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করায়। সে বর্তমানে নিউরি সার্জারি বিভাগে সিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অপরদিকে আক্তার বেগমের দেবর তাজুল ইসলামের ভাইকেও আযাদ, তার ভাগিনা ইমনসহ মারাত্মক ভাবে তারেকের মাথায় জখম করে, এবং ইট দিয়ে মেরে তার মুখের দু’টি দাত ভেঙ্গে পেলে। সেও বর্তমানে ৮১নং ওয়ার্ড ওরাল এন্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারী বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
এ বিষয়ে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার জানান, কারও ঘর সংস্কার কাজে কেউও গিয়ে সন্ত্রাসী হামলা করা এটা মারাত্মক অপরাধ, তবে আমি স্পটে পুলিশ পাঠিয়েছি, ওরা পরিস্থিতি শান্ত রেখেছে, এই ব্যাপারে ভূক্তভোগী পরিবার মামলা করতে চাইলে অবশ্যই মামলা করতে পারবে।
বর্তমানে আক্তার বেগমের পরিবার ছেলের বউ ও ছোট নাতি নাতনি নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এছাড়া নিজ জমিতে ঘর নির্মান ও জীবনের নিরাপত্তার দাবীতে চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনার মহোদয়, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।