এম.এইচ মুরাদঃ
চট্টগ্রামবাসীর জন্য আমৃত্যু নিজের দরজা খোলা মন্তব্য করে বিদায়ী চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, চট্টগ্রামবাসীর সুখে-দুঃখে সবসময় ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব। আমার আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। জীবনে যা চেয়েছি, সবই পেয়েছি। পেয়েছি পদপদবী, অভূতপূর্ব সম্মান, মানুষের অপত্য ভালোবাসা।
মেয়রের ৫ বছর পূর্তি ও বিদায় উপলক্ষে সিটি করপোরেশন আয়োজিত প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আত্মকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা ও আত্মপ্রচার পরিহার করা উচিত। তাহলে আমরা এগিয়ে যাবো। অনেকে ৮শ কোটি টাকার দেনাকে হাইলাইটস করছে। এটা দেনা নয়। প্রকল্প গ্রহণ, এটা ম্যাচিং ফান্ড। প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গেলে এর একটি অংশ সরকার দিবে এবং আরেকটি অংশ করপোরেশন দিবে। অনেক বেশি প্রকল্প নিয়েছি, যার কারণে অনেক বকেয়া আছে ঠিকাদারের মাঝে। স্পষ্ট করে জনগণকে জানাতে হবে, না হলে তাদের মাঝে ভুল বার্তা যাবে। এখানে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাউকে সমালোচনা না করার আহ্বান জানান মেয়র।
তিনি বলেন, আমরা একটি পরিবার হিসাবে কাজ করতে পেরেছি। এখানে কোন দল, কোম মত তা বিবেচনা না করে জনপ্রতিনিধি হিসাবে যতটুকু সহযোগিতার প্রয়োজন ততটুকু করেছি। সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। মানুষের জন্য কাজ করতে পারা অনেক বড় সৌভাগ্যের বিষয়।
‘আমি মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছি, চসিকের কর্মকর্তা কর্মচারীদের যে ভালোবাসা, আন্তরিকতা পেয়েছি, এতে মনে করি আমি সফল। একজন রাজনীতিবিদ যে উদ্দেশ্য নিয়ে রাজনীতি করে তা করতে পেরেছি। আগেও ছিলাম, এখানও আছি, আমৃত্যু বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাব। আমার দরজা সবার জন্য সব সময় খোলা থাকবে। আমার পাওয়ার আর কিছু নেই, যা পাওয়ার সব পেয়েছি।
এসময় সিটি কর্পোরেশনের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হয় এমন নিউজ করার আগে তা যাছাই করার জন্য মিডিয়ার প্রতি অনুরোধ জানান এবং প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব পাওয়া খোরশেদ আলম সুজনকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান আ জ ম নাছির।
অনুষ্ঠানে মেয়র আজম নাছির উদ্দীনকে সম্মাননাস্মারক তুলে দেন প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা। এছাড়াও সম্মাননা জানানো হয় ৪১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুদ্দোহার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার।
অনুষ্ঠানে অনুভূতি ব্যক্ত করেন প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ চৌধুরী, কাউন্সিলর আজম, ইসমাইল বালি প্রমুখ।