এম.এইচ মুরাদঃ
চট্টগ্রাম নগরীর সিইপিজেড, কেইপিজেড এবং বিভিন্ন শিল্প এলাকার প্রায় ১৭৫টি পোশাক কারখানা চালু হয়েছে। কারখানা মালিকরা বলছেন, শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই এসব কারখানা চালু করা হয়েছে। এছাড়া কারখানার আশেপাশের শ্রমিক দিয়েই চালানো হচ্ছে কাজ।
পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার ইপিজেড এলাকার বাইরের ৮০টির মতো কারখানা চালু করা হয়েছে। তবে শ্রমিকের উপস্থিতি ছিল ৩০ শতাংশের মতো। প্রত্যেক শ্রমিককে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী কারখানায় প্রবেশ করানো হয়। এছাড়া তাদেরকে বারবার হাত ধোয়ার জন্যও তাগাদা দেয়া হয়। বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা) সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সিইপিজেড ও কর্ণফুলী ইপিজেডে ৯৫টি কারখানা চালু হয়েছে। এসব কারখানার হাজার হাজার শ্রমিক কাজে যোগ দিয়েছেন।
এদিকে ইপিজেডের বাইরে নাসিরাবাদ, আগ্রাবাদ, কালুরঘাট, বায়েজিদসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু গার্মেন্টস কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। সকাল থেকে এসব কারখানায় শ্রমিকরা যোগ দিয়েছেন।
বিজিএমইএর সহ-সভাপতি এএম চৌধুরী সেলিম বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে সীমিত পরিসরে কারখানা চালু হয়েছে। অধিকাংশ কারখানা অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করছে। তবে এক্ষেত্রে প্রতিটি কারখানার মালিক স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কারখানা চালু করেছেন। পোশাক কারখানা-সংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘ সময় কারখানা বন্ধ রাখা হলে ক্রেতারা অন্য দেশে চলে যাবেন। কারণ বর্তমানে আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলো তাদের কারখানা খুলে দিয়েছে। সামনে রমজান মাস, শ্রমিকদের বেতন-বোনাসের বিষয় আছে। এমনিতেই পোশাক কারখানার মালিকরা বিভিন্ন সমস্যায় আছেন। অনেক কারখানার মালিক শ্রমিকের বেতন দিতে পারছেন না। এখন ক্রেতারা বলছেন, যেসব শিপমেন্ট বাকি আছে সেগুলো শেষ করতে।
উল্লেখ্য, এর আগে বিজিএমইএর নেতারা জানিয়েছেন, করোনার প্রভাবে পোশাক খাতের এক হাজার ১৪৪টি কারখানায় ৩ দশমিক ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি আদেশ বাতিল হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন কারখানার মালিক ও শ্রমিকরা। রপ্তানি আদেশ বাতিল হওয়া এসব কারখানায় ২২ লাখ ৭০ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করে। তবে এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। ২ শতাংশ সুদে ঋণ হিসেবে মালিকরা নিতে পারবেন। এই অর্থ কেবল শ্রমিকদের বেতন প্রদানে ব্যয় করা যাবে। লে-অফ করা কারখানা মালিকরা এই সুবিধা পাবেন না।