স্টাফ রিপোর্টারঃ
কোরবানি পশুর হাট যাতে করোনা সংক্রমণের হটস্পটে পরিণত হতে না পারে সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন।
শনিবার (২৫ জুলাই) বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের কার্যালয়ে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ আলম সুজন বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেই মুসলিম সম্প্রদায়কে এবারের ঈদুল আযহা পালন করতে হবে। প্রতিদিনই এ ভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এবারের কোরবানি পালনে আমাদেরকে অবশ্যই সংযমী হতে হবে। কোরবানির নামে সামাজিক চাকচিক্য ও বিত্তবৈভবের প্রতিযোগিতা পরিহার করতে হবে।
জীবন রক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সংক্রমণ রোধে কিছু প্রস্তাবনা চসিক মেয়রের কাছে উপস্থাপন করেন তিনি।
প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে রয়েছে, প্রতিটি পশুর হাটের প্রবেশমুখে তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র এবং জীবানুমুক্ত সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। মাস্ক ছাড়া ক্রেতা-বিক্রেতার হাটে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করতে হবে। সর্দি, কাশি, জ্বর নিয়ে কেউ হাটে প্রবেশ করতে পারবে না। শিশু ও বৃদ্ধদের হাটে অনুৎসাহিত করতে হবে। হাটের সঙ্গে যুক্ত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
প্রস্তাবনায় আরও রয়েছে, প্রতিটি পশুর হাটে আলাদা প্রবেশপথ ও বাহিরপথ নিশ্চিত করতে হবে। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হাট চালু থাকবে। একবারে যাতে ২০০ জনের অতিরিক্ত ক্রেতা হাটে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। পানি ও ব্লিচিং পাঊডার দিয়ে দ্রুত পশুর বর্জ্য পরিষ্কার করতে হবে। জলাবদ্ধতা তৈরি না করে নিরাপদ বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। হাটের আশে পাশে কোন প্রকার হোটেল, রেস্তোরা কিংবা খাবারের দোকান থাকতে পারবে না। একদিনের মধ্যেই কোরবানির সকল প্রকার বর্জ্য অপসারণ করতে হবে।
এছাড়া পোর্ট কানেকটিং সড়কটির নয়াবাজার সাগরিকা অংশের কাজ সমাপ্তসহ নগরীর ভাঙ্গা রাস্তাঘাটসমূহ অতি দ্রুত সংস্কার করার অনুরোধ জানান আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ আলম সুজন। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে পোর্ট কানেকটিং সড়কটি চলাচল উপযোগী করা না হলে প্রয়োজনে ঠিকাদারের বাসাসহ সিটি কর্পোরেশনও ঘেরাও করা হবে বলে জানান তিনি।
তাছাড়া চট্টগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা যারা সেমিপাকা কিংবা আধাপাকা বাড়ীতে অল্প কয়টি রুম নিয়ে বসবাস করেন তাদের উপর কর আরোপ না করার অনুরোধ করেন সুজন। জলজট নিরসনে উদ্যোগ গ্রহণের জন্যও মেয়রের নিকট আহবান জানান তিনি।