মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেক কাটা বা কারও জন্মদিন পালন করা সম্পর্কে আমি আগে থেকে কিছু জানতাম না : পটিয়ার ইউএনও


প্রকাশের সময় :২০ এপ্রিল, ২০২০ ২:৩১ : অপরাহ্ণ

এম.এইচ মুরাদঃ

হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর ভাই মুজিবুল হক চৌধুরী নবাবের জন্মদিনের কেক কাটেননি বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা জাহান উপমা।

এর আগে শনিবার (১৮ এপ্রিল) ‘পটিয়া ইউএনও’র কক্ষে ঘটা করে হুইপের ভাইয়ের জন্মদিন’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে চট্টগ্রামের একটি সংবাদমাধ্যম। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ২ এপ্রিল উক্ত আয়োজনে কেক কেটেছেন ইউএনও। উক্ত তথ্যটি অসত্য জানিয়ে পটিয়ার ইউএনও ফারহানা জাহান উপমা বলেন,কেক কাটা বা কারও জন্মদিন পালন করা সম্পর্কে আমি আগে থেকে কিছু জানতাম না, দয়া করে এইসব বিষয়ে আমাকে জড়াবেন না। কেক কাটার মধ্যে আমি ছিলাম না। আমি চেয়ারে বসা ছিলাম। চেয়ার ছেড়ে আমি দাঁড়াইনি। আমি কেক কাটিনি, খাইনি। এমনকি খাইয়েও দিইনি।

ঘটনার বিষয়ে ইউএনও জানান, সেদিন (২ এপ্রিল) শান্তিরহাট বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণসহায়তা দিয়ে রাত ৯টার দিকে আমি অফিসে আসি। চেয়ারে মাত্র বসেছি, একটু পর বের হয়ে যাবো। এমন সময় হঠাৎ আমার রুমে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক, স্থানীয় সাংবাদিক ও হুইপ মহোদয়ের ভাই নবাব প্রবেশ করেন। তারা আগে থেকে আমার অফিসের নিচে হুইপ মহোদয়ের ব্যক্তিগত ত্রাণ তহবিল থেকে যে ত্রাণ দেয়া হয় সেগুলো প্যাকেট করে আসছিলেন।

ইউএনও ফারহানা জাহান উপমা বলেন, সেদিন আমার রুমে এসে ওই স্বেচ্ছাসেবকরা বলছেন, তারা সকাল থেকে কিছুই খাননি। তাদের সাথেও আমিও সকাল থেকে কয়েকটি জায়গায় ত্রাণ বিতরণে অংশ নিয়েছিলাম। এরমধ্যে সব খাবারের দোকানও বন্ধ। তখন দেখি একটা কেক বের করে তারা কাটলো। তাদের সাথে স্থানীয় সাংবাদিকরাও ছিলেন। তখন তাদেরকে তো আমি রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলতে পারি না। এমপি সাহেবের ভাই না হয়ে স্বেচ্ছাসেবকরা এসেও যদি বলতেন, আমরা ক্ষুধার্ত। তাদেরকে খাওয়ার জন্য জায়গা দিতাম আমি। যেহেতু সারাদিন কাজ করেছে তারা।

‘আর কেক কাটার সময় আমি কিন্তু চেয়ারে বসা। চেয়ার থেকে আমি দাঁড়াইনি। আমি কেক খাচ্ছিও না। কেক কাটার মধ্যেও আমি নেই। কিছুর মধ্যে নেই আমি। উনারা দাঁড়িয়ে কেক কাটতে কাটতে আমি বের হয়ে চলে গেছি। জন্মদিন পালন করলে তো বলতাম, আসেন আমিসহ কাটি, আমিসহ খাওয়াই দিই।’

‘সেদিন বৃহস্পতিবার ছিল। ছবির পেছনে ঘড়িতে দেখা যাচ্ছে, রাত তখন ৯টার পর। প্রশ্ন তো এটা হওয়া উচিত ছিল রাত ৯টার সময়ও একজন ইউএনও কেন অফিসে। জন্মদিন পালনের যদি এতই ইচ্ছা থাকে, তাহলে সকালে অফিসে এসেই তো আমরা জন্মদিন পালন করতাম।’ যোগ করেন ইউএনও।

সংবাদের নেপথ্যের ঘটনা জানিয়ে ইউএনও বলেন, কয়েকদিন আগে পটিয়ার একজন সংবাদকর্মী আমাকে কেক কাটার ছবিটা পাঠিয়ে বলেন, আপনারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বলছেন, কিন্তু আপনার অফিসে এসব কী। আমি বললাম, ভাই তারা ঘুরে ফিরে ত্রাণ দিচ্ছে। একই গাড়িতে বসে ত্রাণ দিচ্ছে। সেখানে তো সামাজিক দূরত্বের বিষয় আসতেছে না। আমি তো জানি এখানে বাইরের কেউ নেই, তারাই। আর আমি তো তাদের কাছে যাচ্ছি না। সাধারণ মানুষকে বলে কতটুকু বুঝাতে পারি, আমি কী তাদেরকে বের করে দেব? তাদের সঙ্গে রূঢ আচরণ করবো?

‘এটা বলার পর তিনি আমাকে ত্রাণের একটা তালিকা দিয়েছেন। আমাকে বলেন যে, তার গ্রামের কিছু গরীব মানুষ আছে, তাদের ত্রাণ দরকার। আমি বললাম ঠিক আছে, আপনার তালিকাটা আমাকে করে দেন। আমি চেয়ারম্যানের কাছে পাঠাবো, সমন্বয় করে দেয়ার ব্যবস্থা করবো। আমরা সরকারি ত্রাণ পর্যায়ক্রমে মানুষকে দিচ্ছি।’

ইউএনও বলেন, এটা বলার একদিন পর ১৬ এপ্রিল আমাকে ওই সংবাদকর্মী ম্যাসেজ পাঠিয়েছেন, ত্রাণ কবে পাবো? আমি বললাম আপনার তালিকাটা চেয়ারম্যানকে পাঠিয়েছি। তিনি যাছাই করে দেবেন। এ কথা শুনে তিনি বলেন, তাহলে আমার কাছে তালিকা চাইলেন কেন?

আমি বললাম, সরকারি নির্দেশনা আছে চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে এটা দিতে হয়। মাস্টাররোল করে দেয়ার বিষয় আছে। অগ্রাধিকার তালিকা যাছাই করে দিতে হবে। আমাকে একটু সময় দিন, করে দেব।

পটিয়ার ইউএনও ফারহানা জাহান উপমা বলেন, ত্রাণের বরাদ্দগুলো গতকাল মাত্র ইউনিয়ন পর্যায়ে গিয়েছে। এখনো বিতরণ হয়নি। হয়তোবা আজকের মধ্যে বিতরণ হতে পারে। কিন্তু এরই মধ্যে আমাকে জড়িয়ে অপপ্রচার হয়ে গেল। যা কখনও কাম্য ছিল না।

ট্যাগ :