স্টাফ রিপোর্টারঃ
কর্ণফুলী নদীতে অবৈধ দখল, দূষণ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী। একইসঙ্গে কর্ণফুলী নদীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ষ্টেক হোল্ডার হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরকে এ ব্যাপারে অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
পাশাপাশি প্রতিটি সংস্থাকে তাদের প্রকল্প গ্রহন এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নদীর দূষণ রোধ এবং অবৈধ দখল প্রতিরোধের জন্য সমন্বিতভাবে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণেরও নির্দেশনা দেন তিনি।
রোববার (০৪ অক্টোবর) বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এক সভায় নৌসচিব এসব কথা বলেন।
সভায় কর্ণফুলী নদীর দূষণ রোধ, নাব্যতা বৃদ্ধি ও অবৈধ দখল রোধ কল্পে নানা ধরনের মতামত উঠে আসে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস.এম আবুল কালাম আজাদ ও উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের চবক অধিশাখার কর্মকর্তাবৃন্দ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম ওয়াসা, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটিএ এর প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তারা কর্ণফুলী নদী সংশ্লিষ্ট প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি এবং বাস্তবায়নে সুফল সম্পর্কে তুলে ধরেন।
সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে কর্ণফুলী নদীর ভূমিকা অতুলনীয়। তাই ভবিষ্যতে এ নদীকে একদিকে দূষণ ও অবৈধ দখলের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে অপরদিকে নাব্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আরো বৃহৎ সাইজের জাহাজ গমনাগমনের সুবিধা তৈরি করতে হবে। শহরের নাগরিক বর্জ্য এবং সুয়ারেজের মাধ্যমে যাতে নদী দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি না পায় এ জন্য নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধি সহ অন্যান্য প্রতিরোধমূলক কার্যব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সভায় মত প্রকাশ করা হয়।
দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের লাইফ লাইন খ্যাত কর্ণফুলী নদীকে দূষণ ও অপদখলের হাত থেকে রক্ষা করে তার নান্দনিক রুপ ফিরিয়ে এনে দেশের অর্থনীতিতে আরো অধিক অবদান রাখার সুযোগ সৃষ্টির জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান তিনি।