মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা-সঙ্কটে কোরবানি পালনে যথেষ্ট সংযমী হওয়া উচিত : খোরশেদ আলম সুজন


প্রকাশের সময় :১৯ জুলাই, ২০২০ ৫:১৪ : অপরাহ্ণ

এম.এইচ মুরাদঃ

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ইসলামিক বিধানে শর্তসাপেক্ষ ওয়াজিব পবিত্র কোরবানি পালনে চট্টগ্রামবাসীকে সংযমী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন।

নগরের উত্তর কাট্টলীস্থ নিজ বাসভবনে নিজস্ব ফেসবুক পেইজে লাইভে যুক্ত হয়ে এ পরামর্শ দেন তিনি। জনাব সুজন বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেই আমাদের সামনে হাজির হচ্ছে মুসলিম সমাজের অন্যতম ওয়াজিব ইবাদত পবিত্র ঈদুল আযহা। এই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এবার ঈদুল ফিতরের উৎসব বিশ্বব্যাপী মুসলিম সমাজ অত্যন্ত সীমিত আকারে উদযাপন করেছে। এমনকি ইসলামের অন্যতম ফরজ হজ্ব পালন থেকে নিবন্ধিতরা বিরত রয়েছেন। ঈদুল আযহার দুইটি অংশ। একটি ১০ই জিলহজ্ব সূর্যোদয়ের পর নির্ধারিত স্থানে নামাজের জন্য সমবেত হওয়া, ঈদুল আযহার খুতবা শোনা ও দুই রাকাত নামাজ আদায় করা। আর অন্যটি হচ্ছে পশু কোরবানী দেওয়া।

খোরশেদ আলম সুজন বলেন, কোরবানী হচ্ছে একটি শর্তসাপেক্ষ ওয়াজিব ইবাদত। শুধুমাত্র যে সকল সাবালক মুসলিম যিনি সংবৎসর প্রয়োজনীয় খরচ নির্বাহ করার পর কোরবানীর পশু কেনার সামর্থ আছে তার উপরই এই ওয়াজিব প্রযোজ্য। সুতরাং মরণঘাতি বৈশ্বিক মহামারীর সংক্রমণ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে যেখানে হজ্বের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ আদায় করা যাচ্ছে না, সেখানে কোরবানীর মতো একটি শর্তসাপেক্ষ ওয়াজিব পালনে আমাদের সংযমী হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। বিদ্যমান পরিস্থিতির কারণে পবিত্র ঈদুল আযহার কিছু উৎসবকে আমাদের এবার কোরবানী দিতে হবে। যতটুকু প্রযোজ্য ঠিক ততটুকু পালন করে অন্যবারের মতো বাড়তি উৎসব উদযাপন থেকে বিরত থাকতে দেশের সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাইদের প্রতি বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।

নগরবাসী যে যেখানে আছেন, সেখানেই ঈদ উদযাপনের পরামর্শ দিয়ে খোরশেদ আলম সুজন বলেন, কারো পরিবার বাড়িতে অবস্থান করলে সেক্ষেত্রে কোরবানীর আগেই প্রয়োজনীয় টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। আল্লাহর অশেষ রহমতে বাংলাদেশে সংক্রমণ এখন কিছুটা কমতির দিকে। সে হার অব্যাহত রাখতে হলে আমাদের সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমরা কোনওভাবেই আর আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারি না। আমরা যদি কিছুটা উৎসব কোরবানী দিতে পারি তাহলে সুস্থ অবস্থায় আগামী বছরগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদ্যাপন করতে পারবো। পশুর হাট যাতে কোন অবস্থাতেই করোনা সংক্রমণের হট স্পট হতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান সুজন।

ঈদুল আযহা উদযাপন ও পশুর হাট পরিচালনার জন্য নাগরিক উদ্যোগের পক্ষ থেকে কিছু পরামর্শ ও প্রস্তাবনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও পশু বেচাকেনার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ এবং জনসাধারণের কাছে তুলে ধরেন খোরশেদ আলম সুজন।

ট্যাগ :