মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনায় বান্দরবান পর্যটনে ক্ষতি শত কোটি টাকা


প্রকাশের সময় :৮ অক্টোবর, ২০২০ ৫:৪১ : অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার:

নদী, পাহাড় আর অসংখ্য ঝরনায় নৈসর্গিক এক আবহে আচ্ছন্ন থাকে পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলা। এই নৈসর্গিকতায় গড়ে উঠেছে পর্যটন শিল্প। দেশ-বিদেশের ভ্রমণ পিপাসুদের অন্যতম পছন্দের স্থান এটি। এই জেলার পর্যটন দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ভূমিকা রাখছে বহু বছর ধরেই। তবে বৈশ্বিক করোনা মহামারীর কারণে গত ছয় মাসে বান্দরবান পর্যটন শিল্পে ক্ষতি হয়েছে শত কোটি টাকা। এই ক্ষতির বোঝা মাথায় নিয়ে টিকে থাকার লড়াই করে চলেছেন সংশ্লিষ্টরা। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকারি পর্যায়ে টেকসই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বান্দরবানের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রের মধ্য রয়েছে নীলগিরি, নীলাচল, স্বর্ণজাদি মন্দির, রামজাদি মন্দির, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক, নাফাকুম ও রেমাক্রি। এ ছাড়া আরও রয়েছে থানচিতে নাফাকুম, বড় পাথর, বড়মদক, বগা লেক, রিজুক ঝরনা, কেওক্রাডং, মিরিঞ্জা, উপবনসহ অসংখ্য বিনোদন কেন্দ্র। করোনাকালীন সংক্রামণের হাত থেকে বাঁচতে এবং বাঁচাতে পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এরপর থেকে পর্যটনের সঙ্গে জড়িত নিম্নআয়ের মানুষের মাথায় হাত পড়ে। আর যারা পরিচালনা পর্যদের কিংবা মালিক ও ইজারাদার তাদের অবস্থাও এখন চলছে কোনো মতে। ফলে সব কিছুই এখন স্থবির। তারা এখন টিকে থাকার লড়াই করে চলেছেন।

বান্দরবান আবাসিক হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, গত কয়েক মাস ধরে চলমান বৈশ্বিক করোনা মহামারীর কারণে বান্দরবান পর্যটনে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে পর্যটকদের কাছ থেকে জেলাটির হোটেল মোটেলগুলো গড়ে প্রতিদিন ৫০ লাখ টাকা পেত। অথচ গত পাঁচ মাসে লোকসান হয়েছে অন্তত শত কোটি টাকা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বান্দরবান পর্যটন শিল্প টিকিয়ে রাখতে স্বল্পসুদে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করা জরুরি বলে তিনি মনে করছেন।

অপরদিকে, বান্দরবান চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি লক্ষ্মীপদ দাশ জানান, করোনাকালীন বান্দরবান চেম্বার অব কমার্সের পক্ষ থেকে জেলার চিকিৎসক ও নার্সদের পর্যাপ্ত পিপিই, মাক্স এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রদান করা হয়েছে। করোনা মহামারী থেকে উত্তরণ হলে এফবিসিসিআইয়ের নির্দেশনা মোতাবেক বৈঠক করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করা হবে।

বান্দরবান ভারপ্রাপ্ত নেজারত ডেপুটি কালেকটর (এনডিসি) মো. কায়েসুর রহমান জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বান্দরবানের সব পর্যটন কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ হলে করোনায় পর্যটনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।

ট্যাগ :