মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজারেই তিন বছরে ১৬ হাতির অস্বাভাবিক মৃত্যু! পরিবেশবাদী সংগঠনের উদ্বেগ প্রকাশ


প্রকাশের সময় :১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ৬:৪৮ : অপরাহ্ণ

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ

কক্সবাজারে তিন বছরে ১৬টি হাতির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার রাতে রামুর খুনিয়াপালংয়ের ধোয়াপালং এলাকায় লোকালয়ে এসে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে একটি মা হাতির মৃত্যু হয়েছে, বলছে স্থানীয়রা। এ সময় হাতিটির শরীর থেকে মাথা ও পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকা-ে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে বলে জেলার দক্ষিণ বনবিভাগের ধোয়াপালং রেঞ্জ কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান। আটক নজির আহমদ (৭০) উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের মির্জা আলীর দোকান এলাকার বাসিন্দা। এদিকে তিন বছরে ১৬ হাতির মৃত্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন ‘এনভায়রনমেন্ট পিপল’।

রেঞ্জ কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গতকাল মঙ্গলবার সকালে মির্জা আলীর দোকান সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকার ধানখেত থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থানীয়দের বরাতে তিনি বলেন, সোমবার রাতে ওই এলাকায় ধানখেতে পাঁচ-ছয়টি বুনো হাতি আসে। খেতের মালিক নূরুল ইসলাম ও তার স্বজনরা হাতিগুলোকে তাড়ানোর চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে তারা হাতিগুলোকে বিদ্যুতের শক দেন। এতে অন্য হাতিগুলো পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও একটি হাতি ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে মৃতদেহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে খণ্ড খণ্ড করে ধানখেতে মাটিচাপা দেওয়া হয়।

বন কর্মকর্তা বলেন, মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিগ্যান চাকমার নেতৃত্বে বনবিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা হত্যা জড়িত অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেন।

ইউএনও প্রণয় চাকমাও এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় একজন বন কর্মকর্তা রামু থানায় সাধারণ ডায়েরি এবং কক্সবাজার বন আদালতে আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বলে জানান রেঞ্জ কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন।

এদিকে কক্সবাজারের বনাঞ্চলে মহাবিপন্ন এশিয়ান হাতিকে একের পর এক হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘এনভায়রনমেন্ট পিপল’। মহাবিপন্ন এশিয়ান হাতির মতো এই বন্যপ্রাণী রক্ষায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল কক্সবাজারের রামুর খুনিয়াপালং এলাকায় হাতি হত্যা করে খণ্ড খণ্ড করে পুঁতে ফেলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সংগঠনটি।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জানানো হয় যে, ফাঁদ পেতে, গুলি করে, বিদ্যুৎ শর্ট দিয়ে একের পর এক হাতি হত্যা করেই ক্ষান্ত হচ্ছে না অপরাধীরা এখন হাতিকে হত্যা করে খণ্ড খণ্ড করে পুঁতে ফেলা হচ্ছে। এভাবে বন্যপ্রাণীর সঙ্গে নির্মম আচরণ করলেও অপরাধীরা শাস্তির আওতায় আসছে না।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর কক্সবাজারের চকরিয়ার খুটাখালীর কালাপাড়ার বনাঞ্চলে একটি বাচ্চা হাতিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ৮ দিনের ব্যবধানে ১৪ নভেম্বর কক্সবাজারের রামুর জোয়ারিয়ানালার জুমছড়ির বনাঞ্চলে ৩০ বছর বয়সী স্ত্রী হাতিকে গুলি করা হয়। ওই হাতি ১৬ নভেম্বর মারা যায়। এক দিনের ব্যবধানে ১৫ নভেম্বর কক্সবাজার রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ির খরলিয়াছড়ায় বিদ্যুতের তার ও গুলি করে আরও একটি হাতিকে হত্যা করা হয়।

এছাড়া গত তিন বছরে কক্সবাজার ও আশপাশের অঞ্চলে অন্তত ১৬টি হাতির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গুলি এবং বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়েই বেশির ভাগ হাতির মৃত্যু হয়। এভাবে ধারাবাহিকভাবে হাতি হত্যার ঘটনা উদ্বেগ তৈরি করেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই পুরো দেশ থেকে এশিয়ান হাতি বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

ট্যাগ :