স্টাফ রিপোর্টার:
রাজনীতি করার প্রধান উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করা। নিজের এলাকার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ৩৬নং গোসাইডাঙ্গা ওয়ার্ডের বিএনপির দলীয় মনোনীত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী জনাব মোঃ হারুন (ডক)।
বিএনপির এ বলিষ্ঠ ও ত্যাগী নেতা বলেন, ব্যবসা প্রসারের জন্য নয়, সাধারণ মানুষের অধিকার আদায় ও তাদের দুঃসময়ে পাশে থেকে মানবিক কল্যাণের জন্যই রাজনীতি করি। রাজনীতিক এ নেতার সঙ্গে সম্প্রতি চট্টগ্রামে তার বাসভবনে বসে কথা বলেছেন একাত্তর বাংলা নিউজ এর রিপোর্টারের সাথে।
জনাব হারুন বলেন, রাজনীতি মানে উন্নয়ন, রাজনীতি মানে মানবসেবা, রাজনীতি মানে দেশের সেবা করা। আর মানবতার তাগিদ নিয়ে কাজ করার জন্যই রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছি। আমি রাজনীতি করার মূল উদ্দেশ্য সুখে দুঃখে মানুষের পাশে থাকতে চাই। অনেকেই নিজের ব্যবসাকে প্রসার করার জন্য রাজনীতি করেন। কিন্তু আমি মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করছি এবং সেটাই করে যেতে চাই।
রাজনীতি না করে কি মানুষের কল্যাণ করা সম্ভব নয়? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ, তা করা সম্ভব। কিন্তু আমি চাই,মাদকমুক্ত সমাজ,সবুজ,পরিচ্ছন্ন মডেল ওয়ার্ড, এলাকার রাস্তাঘাট স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ইত্যাদির নির্মাণ ও সংস্কার করতে। আর এগুলো রাজনীতি ছাড়া করা অনেকটাই অসম্ভব। একেবারে করা যাবে না তাও বলছি না।
অন্যান্য রাজনৈতিক দল থাকতে বিএনপির রাজনীতি কেন করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে জনাব হারুন বলেন, জাতীয়তাবাদী মুক্তির নেতা মেজর জিয়াউর রহমান এ দলটির নেতা ছিলেন। এ দলের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করা। এ দলটি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকলে সব শ্রেণীর মানুষের কল্যাণে কাজ করে। তাই এ দলের রাজনীতি করি। আর এ দলের কর্মী হয়েই দেশের জন্য কাজ করে যাব।
আপনি তো আসন্ন ২৯ শে মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর হিসেবে বিএনপির দলীয় মনোনীত প্রার্থী । নির্বাচিত হলে এলাকার মানুষের জন্য কি করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অতীতে যেমন এলাকার মানুষের সাথে ছিলাম এখনো আছি ভবিষ্যতেও থাকব। চেষ্টা করে যাবো আমার ৩৬নং গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডকে,পরিচ্ছন্ন, সবুজ, মাদকমুক্ত,উন্নয়নমমুখী ও আধুনিক বাস্তবিক পরিকল্পনায় একটি মডেল ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তোলা।তবে কাউকে স্বপ্ন দেখাবো না নিজের মনে যে স্বপ্নগুলো আছে সে স্বপ্নগুলো এলাকার মানুষের জন্য বাস্তবায়ন করবো প্রাণ দিয়ে।আমার এলাকার মানুষদের কে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন আছে সে স্বপ্নগুলো আমি একটা একটা করে পরিকল্পনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করবো।
আপনিতো বিএনপির দলীয প্রার্থী। আপনি কি মনে করেন আপনার এলাকায় সকল বিএনপির নেতারা আপনাকে জিতাতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে দায়িত্ব পালন করবে? জনাব হারুন বলেন, দেখেন রাজনীতি করতে হলে সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আমি বলছি না আমার থেকে আরও যোগ্য প্রার্থী নেই। পোস্ট একটা দলের যোগ্য লোক অনেক। দলের নীতিনির্ধারকরা আমাকে যোগ্য মনে করেছেন তাই আমি একক প্রার্থী হয়েছি।দলের নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের আদর্শকে ধারণ করে এবারের নির্বাচনে সবাই একসাথে কাজ করবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে । দলের কেন্দ্রীয় নেতারা যেখানে প্রার্থী নির্বাচন করে বলে দিয়েছেন তাতে আমার কোনো সন্দেহ নেই। আমি মনে করি সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাই একসাথে হয়ে আমরা আমাদের দলকে এ ওয়ার্ড উপহার দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, আমি যদি নির্বাচিত হই তাহলে আমার প্রথম কাজ হবে শ্রম এবং মেধার মাধ্যমে ৩৬নং গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডকে যেন মডেল ওয়ার্ডে পরিণত করতে পারি এই প্রচেষ্টা থাকবে। এবং আমার এলাকা থেকে জলাবদ্ধতা নিরসন এবং মাদক নির্মূল করা এই দুইটা বিষয়ে কঠোর প্রদক্ষেপ নিবো ইনশাআল্লাহ্। এই ওয়ার্ডে একটা শিশু পার্ক স্হাপন, একটি মহিলা কলেজ, গরীব অসহায়, ভূমিহীনদের জন্য একটি কবরস্থান করার পরিকল্পনা আছে আমার। ইনশাআল্লাহ্ জয়যুক্ত হলে এইসব কাজগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করার চেষ্টা করবো।
মোঃ হারুন (ডক) রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা,সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করে সেবা মূলক কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে তিনি সদা হাস্য উজ্জল, বন্ধুবৎসল ব্যক্তি। সততা, ন্যায়,নিষ্ঠা এবং অসীম ধৈর্য্য তার পথচলার পাথেয়। তিনি দল মত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ছোট বড় সকলের নিকট দোয়াপ্রার্থী। বিশেষ করে তার নির্বাচনী এলাকা চসিকের ৩৬নং গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডের সকল ভোটার ভাই-বোনদের কাছে তিনি বিনীত অনুরোধ রেখেছেন যাতে তাকে তাদের মূল্যবান ভোট প্রদানের মাধ্যমে কাউন্সিলর নির্বাচিত করে তাদের আরও কাছে গিয়ে সেবা করার সুযোগ করে দেয়।