এম.এইচ মুরাদঃ
ভোগ্যপণ্যের বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের আড়তে অভিযানের পর মিয়ানমার থেকে আমদানি করা আদার দাম কমেছে ৭০-৯০ টাকা। প্রতি কেজি আদা পাইকারিতে ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে এখন।
শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করে।
বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
হাসানুজ্জামান একাত্তর বাংলা নিউজকে জানান, খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারের ইরা ট্রেডার্সকে বেশি দামে আদা বিক্রি করায় ৪০ হাজার, নুরুল হক ট্রেডার্সকে একই অপরাধে ৪০ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়েছে।
তিনি জানান, অভিযানের আগে আড়তের মূল্য তালিকায় প্রতি কেজি মিয়ানমারের আদার দাম লেখা ছিলো ১৮০-২১০ টাকা। অভিযান আঁচ করতে পেরে অনেকে আড়ত বন্ধ করে গা ঢাকা দেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে হাসানুজ্জামান জানান, পাইকারি বাজারে চীন থেকে আমদানি করা আদা দেখা যায়নি। সব আড়তে মিয়ানমারের আদা।
ব্যবসায়ীরা তদারকি টিমকে জানান, আমদানির সব খরচ ও লাভসহ প্রতিকেজি আদা (মিয়ানমার) ১২০ টাকা বিক্রি করবেন। তারা তাদের মূল্য তালিকা সংশোধন করে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা আদার মূল্য ১২০ টাকা প্রতিকেজি নির্ধারণ করেন।
এদিকে, সিডিএ কর্ণফুলী মার্কেটের নুর এ মদিনা স্টোরকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৫ হাজার টাকা ও মজুমদার স্টোরকে একই অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়েছে।
কর্ণফুলী মার্কেট ও খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের অনৈতিক মুনাফা না করতে, পণ্য ক্রয়ের ভাউচার এবং দোকানের প্রকাশ্য স্থানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন করে পণ্য বিক্রি করতে অনুরোধ করা হয়।
ভোক্তাসাধারণকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে পণ্য ক্রয় করতে, মাস্ক-গ্লাভস পরিধান করতে অনুরোধ করা হয়।
পাশাপাশি কোনো বিক্রেতা যদি বেশি মূল্যে পণ্য বা ওষুধ বিক্রি করে অথবা বিক্রির প্রস্তাব করে তবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বরে (১৬১২১) অভিযোগ জানাতে বা তথ্য দিতে অনুরোধ করা হয়।