এম.এইচ মুরাদঃ
সারা বিশ্ব এখন করোনা ভাইরাসের সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তার ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশ তথা চট্টগ্রামও। এখন যে যার অবস্থান থেকে যেভাবে পারছে মানবসেবায় এগিয়ে আসছে। জনপ্রতিনিধিরা এখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে সবার মাঝে মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাতি অর্জন করা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ২৩নং উত্তর পাঠানটুলি ওয়ার্ডের বারবার নির্বাচিত কাউন্সিলর ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য মোহাম্মদ জাবেদ করোনা সংকটের প্রথম থেকেই অর্থাৎ গত বছরের মধ্য মার্চ মাস থেকে অদ্যবদি তার ওয়ার্ডের অসহায়, দুস্থ, কর্মহীন এবং বিশেষ করে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যেবিত্ত মানুষের পাশে থেকে নিজস্ব অর্থায়নে এবং সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে আসছেন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে এখন সারাদেশে সরকার ঘোষিত লকডাউন চলমান রয়েছে। তাই কর্মহীন, দুস্থ ও অসহায় মানুষদের কথা ভেবে এবার কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদ তার নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৫০০০ পরিবারের জন্য ইফতার ও সেহেরি সামগ্রী বিতরণের ব্যবস্থা করেছেন।
৩০ এপ্রিল শুক্রবার উক্ত ইফতার ও সেহেরি সামগ্রী বিতরণ উপলক্ষে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। সভাপতিত্ব করেন ২৩নং উত্তর পাঠানটুলি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল বলেন, ‘কোনো বৈশ্বিক মহাবিপর্যয় সরকার বা সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে শতভাগ মোকাবেলা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এই সংকট মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সামাজিক শক্তি ও বিত্ত্ববান শ্রেনীর সক্ষম ব্যক্তিদের নিবেদিত হতে হবে। তাহলেই সমবেত প্রচেষ্টায় এই সংকট মোকাবেলা সম্ভব হবে। আর একসাথে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের জন্য এবং দেশের মানুষের জন্য কাজ করে আমরা আবার আগের মতো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরো বলেন, সরকার বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে প্রদত্ত ত্রাণ যেন প্রকৃত উপকারভোগী মানুষের ঘরে ঘরে পৌছে যায় সেই দায়িত্ব আমাদেরকে অব্যশই পালন করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা করেছেন ত্রাণ সামগ্রী পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তাই কারো অভুক্ত থাকার কোনো কারণ নেই। তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ নিয়ে কোন নয়-ছয় বর্দাস্ত করা হবে না। যারা ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে জোরচুরি করবে তাদের পরিচয় যা-ই হোক না কেন তাদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে কয়েক হাজার পরিবারকে ইফতার ও সেহেরি সামগ্রী বিতরণ করার জন্য কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদের মতো প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে যার যার সামর্থানুযায়ী ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকলে কেউ অভুক্ত থাকবেন না। তাই মনে রাখতে হবে একজন প্রতিবেশি যদি অভুক্ত থাকে তাহলে আমাদের রোজা এবাদত ও প্রার্থনা কখনো আল্লাহ কবুল করবেন না।
এ সময় সভাপতির বক্তব্যে কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদ বলেন, গত বছর করোনা দূর্যোগের শুরু থেকে আমি আমার ওয়ার্ডের অসহায়, কর্মহীন মানুষের পাশে থেকে তাদের মাঝে কয়েক ভাগে সরকারি ত্রাণ সামগ্রী এবং আমার নিজের তরফ থেকে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজকেও আমার নিজস্ব অর্থায়নে ২৩নং উত্তর পাঠানটুলি ওয়ার্ডের প্রায় পাঁচ হাজার পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করছি। আমার আশা আছে করোনা সংকট শেষ না হওয়া পর্যন্ত সরকারি বরাদ্দের পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগও এই সহযোগীতা অব্যাহত রাখব ইনশাআল্লাহ।’
এসময় সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চট্টগ্রাম মহানগর এবং ২৩নং উত্তর পাঠানটুলি ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীবৃন্দ ও অত্র এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
