স্টাফ রিপোর্টার:
চট্টগ্রাম বিভাগে প্রবল বর্ষণ ও বন্যার কারণে এই তিন বোর্ডের পরীক্ষা ১০ দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে পিছিয়ে যাওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে, যাতে অংশ নিচ্ছে সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থী।
রোববার সকাল ১০টা থেকে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ইংরেজি প্রথম পত্র, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের হিসাববিজ্ঞান নীতি ও প্রয়োগ-২, ব্যাংকিং ও বীমা, অর্থনীতি এবং রসায়ন বিজ্ঞান-২ পরীক্ষা হচ্ছে।
গত ১৭ অগাস্ট ঢাকা, কুমিল্লা, সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশাল, যশোর, রাজশাহী ও দিনাজপুর- এই আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়।
বাকি তিন বোর্ডেও একই দিনে পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও চট্টগ্রাম বিভাগে প্রবল বর্ষণ ও বন্যার কারণে তা ১০ দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়।
এ বছর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৩ জন, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ৯৮ হাজার ৩১ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ১ লাখ ৫২ হাজার ৭১৭ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
এবারও পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। তবে করোনাভাইরাস মহামারীর পর এবারই পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
১০০ নম্বরের প্রশ্নে তিন ঘণ্টায় সব পরীক্ষা হলেও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পরীক্ষা হবে ৭৫ নম্বরে এবং ২ ঘন্টা ২৫ মিনিটে।
ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবন্ধিতা রয়েছে বা বিশেষভাবে সক্ষম পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাহায্যকারীর সহায়তা ও অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবেন।
পরীক্ষায় প্রোগ্রামিং ক্যালুলেটর ব্যবহার করা যাবে না, তবে সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার বাধা নেই।
এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন। যাদের ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৭ জন ছাত্র ও ৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৫ জন ছাত্রী।
বিদেশের আটটি কেন্দ্রে এবার পরীক্ষার্থী রয়েছে ৩২৭ জন।
দেশে ২০১০ সাল থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এসএসসি এবং এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে আসছিল।
মহামারীর কারণে ২০২০ সালে পরীক্ষা না নিয়েই শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়। শিক্ষাসূচি ভেঙে পড়ায় ২০২১ ও ২০২২ সালে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। এর সঙ্গে বন্যার ধাক্কায় ২০২২ সালে পরীক্ষা আরও পিছিয়ে নভেম্বরে শুরু হয়।
এ বছর পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে জুলাইয়ে পরীক্ষা শুরুর সিদ্ধান্ত হলেও তা পিছিয়ে যায় সিলেবাস শেষ না হওয়ার কারণে।
২০২৪ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা আগের সূচিতে নেওয়ার আশা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।