এম.এইচ মুরাদঃ
ইতিহাসে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মার্কিন অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম শূন্যের নিচে নেমে এসেছে। চাহিদা তলানিতে নেমে যাওয়ায় প্রথমবারের মতো এমন ঘটনা ঘটেছে। খবর রয়টার্স ও সিএনএন।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, সোমবার নজিরবিহীন এ পরিস্থিতির মধ্যে যখন বাজার শেষ হলো, তখন ফিউচার মার্কেটে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের শীর্ষ ব্র্যান্ড ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের প্রতি ব্যারেলের দাম ছিল মাইনাস ৩৭.৬৩ ডলার, যার অর্থ দাঁড়িয়েছে– এখন তেল নিলে ক্রেতাকে উল্টো টাকা দিতেও রাজি উৎপাদকরা।
কারণ আশঙ্কা করা হচ্ছে, চাহিদা না থাকায় ও উৎপাদন অব্যাহত থাকায় মে মাসেই তেল মজুদের আর জায়গা থাকবে না।
ডাও জনন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল ৫৯২ পয়েন্ট নিচে নেমেছে – এটি হচ্ছে শতকরা ২ ভাগ হ্রাস। এস এন্ড পি ফাইভ হান্ড্রেডও, শতকরা ২ ভাগ নিচে নেমেছে এবং নাসডাক ১% হ্রাস পেয়েছে।
লকডাউনে বিশ্বের বহুদেশের মানুষ এখন ঘরবন্দি। রাস্তাঘাট সব ফাঁকা, অলস বসে আছে উড়োজাহাজগুলো। আর অন্ধকার হয়ে পড়েছে কারখানাগুলো।
কাজেই আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের চাহিদা গত তিন মাস ধরে ক্রমাগত কমেই যাচ্ছিল। কিন্তু উৎপাদন বন্ধ না থাকায় বিক্রি না হওয়া কোটি কোটি ব্যারেল তেল গুদামজাত করার জায়গাও শেষ হয়ে আসছিল।
আশঙ্কা করা হচ্ছিল, মে মাসের আগেই গুদাম, শোধনাগার, টার্মিনাল, জাহাজ, পাইপলাইন, সবগুলোর ধারণক্ষমতা পূর্ণ হয়ে যাবে।
বিবিসি জানায়, আর এই আতঙ্কই যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদিত তেলের দাম শূন্যের নিচে নিয়ে গেছে।
এদিকে বিশ্ব তেল বাজারের এরকম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গত সপ্তাহে আলোচনা শুরু হয় তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে। গত ১৩ এপ্রিল নানা আলোচনা জল্পনার পর ওপেক প্লাস ও তেল উৎপাদক মিত্রদেশগুলো উৎপাদন কমানোর ঐতিহাসিক সমঝোতায় পৌঁছায়।