এম.এইচ মুরাদঃ
যে মানুষের অন্তর জুড়ে কেবল মানুষের ভালোবাসা বিদ্যমান, যার শব্দ মালায় ধ্বনিত হয় দুঃখি মানুষের আর্তনাদ তিনিই মানবদরদী প্রকৃত মানুষ। এমনি একজন সফল জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক, মানবতাবাদী জনপ্রিয় মানুষ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ২৩নং উত্তর পাঠানটুলি ওয়ার্ডের সদ্য সাবেক কাউন্সিলর ও আসন্ন চসিক নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত একক কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মোহাম্মদ জাবেদ।
যিনি নিজ জীবনের স্বণার্লী দিন গুলো নিস্বার্থভাবে অতিবাহিত করেছেন মানুষের জন্য। তিনি তার জীবনের দীর্ঘসময় চসিক ২৩নং উত্তর পাঠানটুলি ওয়ার্ডের একজন সেবক ও সফল জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের সেবায় অতিবাহিত করেছেন। বাকি জীবনটাও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে চান এই মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিতি লাভ করা কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদ। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। সেই সূত্রেই মানুষের কাছে থেকে মানুষের সেবা করাকেই তার জীবনের মূল কাজে পরিণত করেছেন। দুঃস্থ অসহায় মানুষের কাছে থেকে অনুভব করেন তিনি তাদের কষ্টের আর্তি। জনকল্যাণ মূলক কাজের ভেতর তিনি ভুলে যান নিজের ব্যাক্তি জীবনের কথা। নানা দুর্যোগের সময় মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সাহায্য করেন। সৃষ্টিশীল যে কোন কাজকে জীবনের অন্যতম ব্রত মনে করেন তিনি। তিনি চাইলে উন্নত জীবনে যাপনে তার জীবন অতিবাহিত করতে পারতেন। থাকতে পারতেন বিশ্বের সবচেয়ে বেশী ধনী দেশে। সব সুযোগ সুবিদা থাকতেও তিনি কিন্তু তা করেননি। তিনি বেছে নিয়েছেন তার ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসার আতুর ঘরকে। তিনি মনে করেন তার ওয়ার্ডের জনগণই তার পরিবারের মানুষ। এই করোনা মহামারীর সময় যেখানে অনেক জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে, পরিবারের আপন মানুষ থেকে শুরু করে অনেক ডাক্তার, অনেক রাজনীতিবিদরা মানুষের পাশে না থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে চেষ্টায় ছিলো ঠিক সেইখানে কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদ তার ওয়ার্ডের মানুষের পাশে থেকে তাদের সুখ দুঃখের সাথী হয়েছেন দিনরাত না ভেবে। তিনি সরকারি বরাদ্দের পাশাপাশি তার নিজস্ব অর্থায়নে রেকর্ড পরিমান উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছেন তার এলাকায়।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ২৩নং উত্তর পাঠানটুলি ওয়ার্ডের স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির,শিক্ষা,স্বাস্থ্য, শিল্প, সাহিত্য, সাংস্কৃতি, ক্রীড়া অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন তাঁরই প্রচেষ্ঠার ফল। তাঁর জীবনের সকল সফলতার মুলে রয়েছে তাঁর বুদ্ধিমত্তা, ধের্য্যর সাথে এগিয়ে চলা, সিদ্ধান্তে অবিচলতা, প্রতিকূলতা মোকাবেলা করার অতুলনীয় শক্তি ও সাহস, জনগণের সঠিক মূল্যায়নের ক্ষমতা, অসীম সাহসীকতা, মানবিকতা, ও আত্মপ্রত্যয়ের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন। অসম্ভব কে সম্ভব করেছেন তিনি বিভিন্ন উন্নয়ন অবকাঠামো বাস্তবায়নের মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত দেশরত্ন শেখ হাসিনার নিবেদিত প্রাণ কর্মী হিসেবে তিনি একজন সৃজনশীল কর্মীবান্ধব দক্ষ সংগঠক। চসিক ২৩নং উত্তর পাঠানটুলি ওয়ার্ডে আওয়ামী ভাবাদর্শের সংগঠগুলোর মধ্যে প্রাণ সঞ্চার করে সংগঠনের ঐক্য, শৃঙ্খলা ও কর্মচাঞ্চাল্য ফিরিয়ে আনেন তিনি। কর্মীর প্রতি তাঁর আন্তরিক নির্ভেজাল ভালোবাসাপূর্ণ উৎসর্গ এক বিরল দৃষ্টান্ত স্হাপন করেছেন তিনি। এ জনপ্রতিনিধি ইতিমধ্যে রাজনীতিতে একজন পরিক্ষিত, নিঃস্বর্থবান, ত্যাগী, কর্মপরায়ণ, স্পষ্টবাদী, ব্যাক্তিগত জীবনের একজন সাহসী মানুষ হিসেবে পরিচিত ও সকলের কাছে সমাদৃত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র, শোষণ মুক্ত স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক তিনি সরকারি বরাদ্দের পাশাপাশি তার নিজস্ব অর্থায়নে তার এলাকায় করেছেন অসংখ্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ড।
এই ওয়ার্ডে প্রথম মাহে রমজানে ইফতার সামগ্রী বিতরন শুরু করেন মোহাম্মদ জাবেদ। তার ওয়ার্ডে অনেক বিত্তবান থাকা সত্ত্বেও তিনি নিজস্ব অর্থায়নে বাড়ি বাড়ি ইফতার সামগ্রী বিতরণ করার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ভ্যানগাড়ি করে তার ওয়ার্ডের জনগণের জন্য সব মহল্লা, পাড়া ও গলিতে ফ্রী ইফতার ও ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। প্রতিটি রমজানের শুরু থেকে হাজার হাজার অসহায় পরিবারের মধ্য ইফতার সামগ্রী বিতরন করেন।ঈদে ঈদ বস্ত্র বিতরন ও নগদ টাকা বিতরন করেন। প্রতিবার ঈদুল আজহাতে অসহায় পরিবারের মাঝে তেল ও মাংস বিতরন করেন। বন্যায় এলাকায় পানি উঠলে ক্ষতি গ্রস্থদের খাবার বিতরনসহ গৃহের ক্ষতিগ্রহস্হদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরন ও নতুন করে গৃহ নির্মানের মাধ্যমে পূনর্বাসনের ব্যাবস্হা গ্রহন করেছেন অসংখ্য অসহায় মানুষের। বিনোদনের অংশ হিসেবে প্রতি বছর তার নিজস্ব উদ্দ্যোগ ও অর্থায়নে তার এলাকার হাজার হাজার মানুষকে নিয়ে বনভোজন আয়োজনের মাধ্যমে মেজবানীর ব্যবস্হা এবং সেখানে সমাজের সন্মানিত মানুষদের সন্মানিত করাসহ বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্হা করে থাকেন যা তার এলাকার মানুষের মাঝে এক অন্যরকম অনুভূতি প্রকাশ পায়। জাতীয় দিবসগুলো কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদ তার ওয়ার্ডের জনগণকে নিয়ে দায়িত্বের সাথে পালন করে থাকেন।
প্রতি বছর বিজয় দিবসে এলাকার সর্বস্তরের মানুষকে সাথে নিয়ে বিজয় রেলির ম্যাধমে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন। নিউ ইয়ার ১লা জানুয়ারিতে এলাকার শিশুদের নিয়ে বই উৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। তার উদ্দ্যোগে ১৪ই এপ্রিল ১লা বৈশাখে নববর্ষের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় তার ওয়ার্ডে। প্রতি বছর ১৫ ই আগস্ট রাষ্ট্রের মহান স্থপতি জাতির জনকের শোক দিবস পালন করা হয়। এছাড়াও মোহাম্মদ জাবেদ কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয় এই মডেল ওয়ার্ডটিতে। এখন এই ওয়ার্ডটির পুরো এলাকা সি সি ক্যামেরা দিয়ে নিয়ন্ত্রিত। তাই এই এলাকার আপামর জনসাধারণ তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে এখন অনেকটা সস্তিতে আছেন। নিজের সন্মানি অর্থ দিয়ে তিনি তার এলাকার মানুষের জন্য এম্বুলেস ক্রয় করেছেন। যেটি দিয়ে ফ্রী এম্বুলেন্স সেবা পাচ্ছেন তার এলাকার জনসাধারণ। তার প্রচেষ্টায় ডিগ্রি কলেজের নতুন ভবন স্হাপনসহ পোস্তারপাড় স্কুলের ভবন স্হাপন, দেওয়ানহাট সিটি কর্পোরেশন কলেজের ক্লাস রুম বৃদ্ধি করার জন্য ১৫০০০ হাজার স্কোয়ার ফিটের ফ্লোরের ব্যবস্হাসহ শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত করেছেন যা অত্র এলাকার শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদ ইতিমধ্যেই তার ওয়ার্ডে এতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে তার ওয়ার্ডের জনগণ এবং তার জনকল্যাণমুখী কাজগুলোই তাকে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে।তার নিজস্ব অর্থায়নে গরীবের মেয়েদের বিয়ে দেওয়া, অসহায় শিক্ষার্থীদের নিজ অর্থায়নে পড়ার সুযোগ করে দেওয়া, অনেককে ব্যাক্তিগত টাকা দিয়ে ঘর সংস্কার থেকে শুরু করে অসহায়দের জন্য তিনি একজন অভিবাবকের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তার এলাকার কোন মানুষ তার কাছে গিয়ে কিছু চাওয়ার পর খালি হাতে ফিরতে হয়েছে এমন নজির নেই। তিনি তার সাধ্যমতো যতটুকু পেরেছেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সবসময়।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নাছির পরিষদের মেয়াদ গত ৫ আগস্ট ২০২০ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের মার্চে চসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে তা স্থগিত করা হয়। যার কারণে সরকার এখন প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে কর্পোরেশনের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ফলস্বরূপ গত ৫ই আগস্ট মোহাম্মদ জাবেদও কাউন্সিলর হিসেবে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। অবশ্যই ইতিমধ্যে তিনি এবারের চসিক নির্বাচনে তার ওয়ার্ডে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ হতে একক মনোনীত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন। তার নির্বাচনি প্রতীক মিষ্টি কুমড়া। এই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা মনে করছেন, সঠিক সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তাদের প্রিয় জনপ্রতিনিধি হতে একদিনের জন্যও তাদের সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে হতো না। যদিও কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদ ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি জনপ্রতিনিধি থাকেন বা না থাকেন কিন্তু তার পক্ষ থেকে অত্র ওয়ার্ডের মানুষের জন্য কখনো তার সেবা কার্যক্রম একমুহূর্তের জন্যও থেমে থাকবে না। ঘোষনায় তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি এই ওয়ার্ডের মাটির কাছে ঋণি, আমি এই ওয়ার্ডের মানুষের কাছে ঋণি- তাই আমি অত্র ওয়ার্ডের মানুষের ধারে ধারে ঘুরি, কোন ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়া নেই আমার, শুধু এই ওয়ার্ডের মানুষের মূখে হাসি ফুটাতে পারলেই নিজের সার্থকতা মনে করি। তাই আমি নিজেকে এই ওয়ার্ডের মানুষের সেবায় উৎসর্গ করলাম। জনপ্রতিনিধি থাকি আর নাই থাকি অত্র ওয়ার্ডের মানুষের জন্য আমার সেবা কার্যক্রম কখনও থেমে থাকবে না ইনশাআল্লাহ।’
২৩নং উত্তর পাঠানটুলি ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবদুর রাজ্জাক, হাজী মোঃ ইব্রাহীম, মোঃ হারুন এর সাথে কথা হলে কাউন্সিলর জাবেদ সম্পর্কে তারা বলেন, ‘কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদ একজন সফল ও আদর্শবান জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে ইতিমধ্যে প্রমাণিত করেছেন। আমাদের এই ২৩নং উত্তর পাঠানটুলি ওয়ার্ডে ওনার প্রতিধন্ধী এখন তিনি নিজেই। তিনি যে পরিমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এই মেয়াদে করেছে তা বিগত কোন জনপ্রতিনিধি তার ধারেকাছেও করতে পারে নাই। শুধু তাই নয় তিনি এলাকায় মাদক নির্মূলে দৃশ্যমান সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। শিক্ষা বিস্তারে নিয়েছেন বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ। রাস্তা-ঘাট অবকাঠামো উন্নয়ন, নালা-নর্দমা সম্প্রসারণ করে জলবদ্ধতা নিরসনে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছেন। সি সি ক্যামেরা স্হাপন করে এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। করোনাকালে রেকর্ড পরিমান উপহার সামগ্রী বিতরণ করে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে একক কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন। আমরা আশা করছি অতিসত্বর করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের প্রিয় জনপ্রতিনিধিকে আমাদের মাঝে আবারো ফিরিয়ে আনবো ইনশাআল্লাহ এই প্রত্যাশায় রইলাম।’