এম.এইচ মুরাদঃ
বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কমিউনিটি সংক্রমণ বন্ধ করতে হলে আসন্ন ঈদুল আযহায় অভিন্ন ছুটি বজায় রাখা এবং সকল প্রকার আন্তঃজেলা পরিবহন বন্ধ রাখার উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
তিনি শনিবার (১৮ই জুলাই ২০২০ইং) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ আহবান জানান।
এ সময় জনাব সুজন বলেন, ” দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। আর এ সংক্রমণের মধ্যে এ মাসের শেষেই বাংলাদেশে উদযাপিত হতে যাচ্ছে মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহার ছুটিকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে একেক সময় একেক রকম সংবাদে জনগণ বিভ্রান্ত হচ্ছে। তাই ঈদের ছুটির অভিন্নতা বজায় রাখার আহবান জানান তিনি।”
তিনি আরও বলেন, “এবারের ঈদের ছুটির মূল লক্ষ্য হতে হবে স্বল্প পরিসরে ঈদুল আযহা পালন এবং কমিউনিটি সংক্রমণ থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করা। আর কমিউনিটি সংক্রমণ থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করতে হলে অবশ্যই অবশ্যই ঈদুল আযহার ২ দিন আগে থেকে আন্তঃজেলা পরিবহন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখতে হবে।”
তাছাড়া ঈদের আগে এবং পরে মিলিয়ে ৯ দিন সারাদেশে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। এতে করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর সংকট সৃষ্টি হয়ে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। আর জনগন ভোগান্তিতে পড়তে পারে। তাই এ বিষয়টি নিয়ে আরো বিশ্লেষণও প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন জনসাধারনের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে যে যেখানে আছেন, সেখানেই অবস্থান করে যাতে ঈদের নামাজ আদায় করে। পরিবার বাড়িতে অবস্থানকালীন সময়ে পশু কোরবানির প্রয়োজনে আগেভাগেই বাড়িতে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এবারের ঈদুল আযহা যেনো শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষার ঈদ হয়। ঈদুল আযহার চাকচিক্য পরিহার করতে পারলেই আমরা সংক্রমণের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পাবো। এছাড়া বলা হচ্ছে যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বাড়িতে না যাওয়ার জন্য। যদি ঈদুল আযহার ছুটি দেওয়া হয় আর গণপরিবহনও চালু থাকে সেক্ষেত্রে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বাড়ী অভিমুখী স্রোত কোনভাবেই ঠেকানো সম্ভব নয়। তাছাড়া গার্মেন্টস শ্রমিকদের মধ্যে শতকরা ৭৫ ভাগই হচ্ছে মহিলা। আর এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মুসলমান সম্প্রদায়। যেহেতু মহিলারা ঈদের জামাতে শরীক হন না সেহেতু এ পরিস্থিতিতে তাদের বাড়িতে যাওয়া কিংবা নিজ নিজ অবস্থানে থাকার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। তাই আমাদের অনুরোধ থাকবে প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারীর জন্য ঈদের ছুটি যেন অভিন্ন থাকে। ঈদের ছুটি নিয়ে যেন কোন প্রকার দ্বৈত নীতি অনুসরণ করা না হয়। শহরের মধ্যে বড় পশুর হাটকে অনুৎসাহিত করে আঞ্চলিক পশুর হাটকে উৎসাহিত করারও আহবান জানান তিনি। কেননা বর্তমান পরিস্থিতিতে কোরবানির পশুর হাটই হচ্ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের একটি উৎকৃষ্ট স্থান। তাই অনলাইনে পশু ক্রয় বিক্রয়কে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ইতিমধ্যে যারা অনলাইনে পশু ক্রয় বিক্রয় শুরু করেছে এবং নিষ্ঠা ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কোরবানির পশু জবাই করে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তাদেরকেও নাগরিক উদ্যোগের পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানান তিনি। এছাড়া নগরীর অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু জবাই করে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করার অনুরোধ জানান জনাব সুজন।