এম.এইচ মুরাদঃ
চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় যুবলীগ নেতা নূর মোস্তফা টিনুকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুন) মধ্যরাতে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমের সমর্থক ইংরেজি বিভাগের অনার্স শেষবর্ষের পরীক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল সায়মন মামলাটি দায়ের করেন।
জানা যায়, বুধবার (১৬ জুন) সভাপতি মাহমুদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের সমর্থকরা আহত হয়। পরবর্তীতে সভাপতি মাহমুদুল করিমের সমর্থকরা যুবলীগ নেতা নূর মোস্তফা টিনুকে প্রধান আসামী করে চকবাজার থানা ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাকি আসামিদের মধ্যে আছে আমির উদ্দিন, জিয়া উদ্দিন আরমান, সৌরভ উদ্দিন বাপ্পা, সিরাজুল ইসলাম তোরাব, মো. মহিউদ্দিন সৌরভ, মনির উদ্দিন রেহান, আবুল কালাম, আনসার উদ্দিন, মন্টি চৌধুরী, ইমন হোসেন এবং মো. আব্দুল্লাহ। এদের মধ্যে সিরাজুল ইসলাম তোরাবকে বুধবার আটক করে পুলিশ।
অভিযোগ উঠেছে, মূলত নূর মোস্তফা টিনুকে রাজনৈতিকভাবে হ্যারেজমেন্ট করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে একটি পক্ষ তাকে প্রধান আসামি করে মামলা করান। যেখানে নূর মোস্তফা টিনু ঘটনাস্থলে ছিলেন-ই না এবং উক্ত ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না।
এ ব্যাপারে যুবলীগ নেতা নূর মোস্তফা টিনু একাত্তর বাংলা নিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনার সাথে আমি কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নই। কারণ, ঘটনার সময় আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে ছিলাম। আমাকে প্রধান আসামী করে মামলা করা একটা বড় ষড়যন্ত্র।
তিনি আরও বলেন, কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ ছাত্রলীগের রাজনীতি করে, আমি যুবলীগের। ছাত্রলীগের মারামারির ঘটনায় আমার বিরুদ্ধে মামলা করা ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।