মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমলা নয়, চসিকের দায়িত্ব থাকতে পারে রাজনৈতিক ব্যক্তির হাতেই


প্রকাশের সময় :৩ আগস্ট, ২০২০ ৬:৩৬ : অপরাহ্ণ

এম.এইচ মুরাদঃ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচিত মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের মেয়াদ আছে আর মাত্র দুই দিন। তবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে হচ্ছে না নির্বাচন। আইন অনুযায়ী মেয়রের চেয়ারে বসে অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পালন করবেন একজন প্রশাসক। সেই প্রশাসকের দায়িত্বটি কে পাচ্ছেন? এ নিয়ে বন্দরনগরীতে আলোচনার শেষ নেই।

আইনে আছে, প্রশাসনের একজন আমলা কিংবা উপযুক্ত ব্যক্তি বসবেন প্রশাসকের পদে। সেই উপযুক্ত ব্যক্তিটি হতে পারেন একজন রাজনীতিকও। এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামে এখন কোটি টাকার প্রশ্ন, কে হচ্ছেন চসিক প্রশাসক -আমলা নাকি রাজনৈতিক ব্যক্তি? এ সংক্রান্ত নানা গুঞ্জনের মধ্যেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক সিনিয়র সচিব জানিয়েছেন, একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিই আসছেন চসিক প্রশাসকের দায়িত্বে।

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচন। মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত পরিষদের দায়িত্ব নেওয়ার পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে ৫ আগস্ট। গত ২৯ মার্চ চসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সেটা স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯-এর ২৫ (১) ধারায় বলা আছে, সিটি করপোরেশন মেয়াদোত্তীর্ণ হলে সরকার সিটি করপোরেশন গঠিত না হওয়া পর্যন্ত এর কার্যক্রম সম্পাদনের উদ্দেশ্যে একজন উপযুক্ত ব্যক্তি বা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে।

একই আইনের ২৫ (২) ধারায় বলা হয়েছে, সরকার প্রয়োজনবোধে যথাযথ বলে বিবেচিত হয় এমন সংখ্যক সদস্য সমন্বয়ে গঠিত কমিটিকে প্রশাসকের কর্মসম্পাদনে সহায়তার জন্য নিয়োগ করতে পারবে।

আর ২৫ (৩) ধারায় বলা হয়েছে, প্রশাসক এবং কমিটির সদস্যরা যথাক্রমে মেয়র ও কাউন্সিলরের ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।

ঈদুল আজহার ছুটি শেষে অফিস খোলার প্রথম দিনেই প্রশাসক নিয়োগ সংক্রান্ত আদেশ পাওয়া যাবে বলেও জানা যায় বিশ্বস্ত সূত্রে।

ঐ সচিব বলেন, ‘হাতে আরও দুই দিন সময় আছে। এর মধ্যেই প্রশাসক নিয়োগ হলে বিষয়টি আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেবো। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে নথি পাঠিয়েছি। সম্পূর্ণ বিষয়টি উনার বিবেচনায় আছে। উনি চট্টগ্রাম সম্পর্কে অনেক বেশি অবহিত। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত এখনো পাওয়া যায়নি। পেলেই আমরা বিষয়টি জানিয়ে দেবো।’

আমলা নাকি রাজনৈতিক ব্যক্তি-কার হাতে চসিকের দায়িত্ব বর্তানোর সম্ভাবনা আছে? জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘আমলা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমলা কেউ দায়িত্ব পেলে আমরা এতদিনে বিষয়টি জানতে পারতাম। রাজনৈতিক ব্যক্তিই খুব সম্ভবত প্রশাসকের দায়িত্ব পাচ্ছেন।’

সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত, এমন একজনের সঙ্গেও কথা হয়েছে একাত্তর বাংলা নিউজের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি একাত্তর বাংলা নিউজকে জানিয়েছেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিই চসিকের প্রশাসক হওয়ার সম্ভাবনা এই মুহূর্তে বেশি বলে তিনি জানতে পেরেছেন। তবে সেক্ষেত্রে বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সেই দায়িত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তাকে বাদ দিয়ে তিন জন রাজনীতিক এবং একজন ব্যবসায়ী নেতার নাম আলোচিত হচ্ছে। এরা হলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু এবং চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম।

আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন

তিনি বলেন, খোরশেদ আলম সুজনের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরবর্তী প্রশাসক হওয়ার সম্ভবনা সবচেয়ে বেশী কারণ সুজনই এই কয়েকজনের মধ্যে প্রসাশক হিসেবে যোগ্য এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বলে ধারণা করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবত সুজন রাজনীতির সাথে জড়িত আছেন এবং চট্টগ্রামের প্রতিটি এলাকা তার ভালো জানাশোনা এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও সমস্যা সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন বিধায় প্রশাসক হিসেবে কাজ করতে অনেকটা সহজ হবে বলে করছেন তিনি। তবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। পুরো বিষয়টিই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। মঙ্গলবার এ বিষয়ে আদেশ জারি হতে পারে। তখন সবকিছু খোলাসা হবে,’— বলেন ওই ব্যক্তি।

৬০ বর্গমাইল আয়তনের চট্টগ্রাম পৌরসভাকে ১৯৮২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ‘চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনে’ উন্নীত করা হয়। প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত হন তৎকালীন সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার মফিজুর রহমান চৌধুরী।

১৯৯০ সালের ৩১ জুলাই চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের নাম পরিবর্তন করে ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন’ নামকরণ করা হয়। তৎকালীন এরশাদ সরকার জাতীয় পার্টির নেতা মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীকে সে সময় এই সিটির মেয়র নিযুক্ত করেন। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন মেয়র নিযুক্ত হন।

১৯৯৩ সালের ২১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯৪ সালের ১০ মার্চ পর্যন্ত চসিক প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তৎকালীন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ওমর ফারুক। ১৯৯৪ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী মেয়র নির্বাচিত হন। টানা ১৭ বছর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মহিউদ্দিন। এরপর ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জিতে মেয়র হন বিএনপির এম মনজুর আলম। সবশেষ ২০১৫ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন আ জ ম নাছির উদ্দীন।

এবারের স্থগিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি দলটির নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। তার বদলে নৌকার মনোনয়ন পান নগর কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী। অন্যদিকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পান দলটির নগর কমিটির সভাপতি শাহাদাত হোসেন।

ট্যাগ :