নিউজ ডেস্কঃ
চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো বিরল ও জটিল রোগের (এওর্টিক এনিউরিজম) সফল সার্জারি সম্পন্ন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি হাসপাতাল এভারকেয়ার। যা দেশের চতুর্থ এবং চট্টগ্রামের প্রথম সফল সার্জারি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
‘এওর্টিক এনিউরিজম’ নামে বিরল এ রোগে আক্রান্ত ছিলেন চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরের বাসিন্দা ৬২ বছর বয়সী মো. নিয়াজ আহমেদ চৌধুরী। যিনি চলতি মাসের শুরুর দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে গলগণ্ডের চিকিৎসা নিতে আসলে এ রোগটি ধরা পড়ে। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে গত বুধবার (২৫ আগস্ট) সার্জারি করেন এভারকেয়ার হাসপাতালের একদল কার্ডিয়াক চিকিৎসক।
চিকিৎসকরা জানান, ‘থোরাসিক এন্ডোভাস্কুলার এওর্টিক রিপেয়ারের’ সাহায্যে জটিল এ রোগের সফল অস্ত্রপচার করা হয়। এই পদ্ধতিতে কাটাছেড়ার প্রয়োজন নেই বললেই চলে। এর আগে পদ্ধতিটি ঢাকা ছাড়া দেশের অন্য কোথাও ব্যবহৃত হয়নি। চট্টগ্রামে এটি প্রথমবারের মতো করা হয়। সফল সার্জারির ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে ইতোমধ্যে বাড়িও ফিরেছেন’। হাসপাতালের থোরাসিক সার্জারি এবং কার্ডিওভাস্কুলার বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মোহাম্মদ ফজলে মারুফের নেতৃত্বে এবং ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আশীষ দে ও এনেস্থেশিয়া দলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ এ সফল সার্জারি। ডা. মোহাম্মদ ফজলে মারুফ বলেন, এটি মূলত উপসর্গবিহীন রোগ।
সাধারণ যেকোন রোগের চেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তবে রোগীর পেটে ও বুকে ব্যথা অনুভব হতে পারে এবং প্রেসার বেড়ে যেতে পারে। পেটের সিটি স্ক্যান, ইউএসজি অথবা এক্স-রে-এর মাধ্যমে এই রোগ শনাক্ত করা হয়।
এওর্টিক এনিউরিজমের সাথে যাদের ডায়াবেটিস ও প্রেসারজনিত সমস্যা আছে তাদের ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি উল্লেখ করে সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আশীষ দে বলেন, এটি জন্মগতও হতে পারে। এওর্টিক এনিউরিজম মোটেও অবহেলা করার মতো কোন রোগ নয়। শনাক্ত হলে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরি। এই রোগের ফলে ৩২-৬৮ শতাংশ রোগীর এনিউরিজম ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যা রোগীর মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়। তাই সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ এ চিকিৎসকের।