স্টাফ রিপোর্টারঃ
সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। তবে গত দুই দিনের মতো আগামী দুই দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার ও বুধবার এই লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর বৃষ্টির প্রবণতা কমে আসতে পারে। এদিকে, এই লঘুচাপের প্রভাবে সমুদ্রবন্দরগুলো, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ কারণে চার সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উপকূলীয় অঞ্চলের দ্বীপ ও চরগুলোতে ১ থেকে ২ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানান, আগামী দুই দিন এই আবহাওয়া বিরাজ করবে। মূলত বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির প্রবণতা কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টি কমে এলেও মৌসুমি বায়ু এখনও সক্রিয় থাকায় দেশে কোথাও কোথাও থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে।’
সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতিতে বলা হয়, ভারতের দক্ষিণ মধ্যপ্রদেশ ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি স্থলভাগের ওপর দিয়ে আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও আশেপাশের এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। সমুদ্র বন্দরগুলো, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এদিকে পূর্ণিমা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১ থেকে ২ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।