মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বুধবার, ৮ মে ২০২৪ ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামীকাল থেকে চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু তিন মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা


প্রকাশের সময় :৩১ মে, ২০২৩ ৮:১৬ : পূর্বাহ্ণ

এম. এইচ মুরাদ:

আগামীকাল ১ জুন থেকে ৩ মাসের জন্য বন্ধ হতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর শতবর্ষী কালুরঘাট সেতু। এই সময় সেতুটিতে দ্রুতগামী ট্রেন চলাচলে জন্য বড় ধরনের মেরামত কাজ করা হবে। তার পরই খুলে যাবে রেলের কক্সবাজার রুট। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে পুরোনো এই কালুরঘাট সেতু দিয়েই কক্সবাজারের নতুন রেলপথে ট্রেন চলবে। আর ভ্রমণকারীরা প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখতে দেখতে পর্যটন শহর কক্সবাজার পৌঁছে যাবেন। কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মফিজুর রহমান জানান, সেপ্টেম্বরে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচলের লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। তবে কিছু ফিনিসিংয়ের কাজ সেপ্টেম্বরের পরেও চলবে।

ব্রিটিশ বাংলায় ১৮৬২ সালে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে কুষ্টিয়ার জগতি পর্যন্ত রেলপথের মাধ্যমে ব্রিটিশ আমলে এদেশে রেলের যে শুভ সূচনা হয়, তার ১৬২ বছর পর চট্টগ্রাম দক্ষিণ, বান্দরবান ও কক্সবাজারের মানুষ উপভোগ করবে রেল পথে যাত্রার ভিন্নস্বাদ। সেতুটি সংস্কার করার সময়ে দোহাজারী পর্যন্ত ট্রেন ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। বিকল্প পথে চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে যাতায়াতের জন্য কালুরঘাটে কাল ১ জুন থেকে চালু করা হবে ফেরি। বোয়ালখালী ও পটিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য যানবাহনগুলো ফেরি দিয়ে পারাপার করার ব্যবস্থা নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর। তিনি জানান, কালুরঘাটে নতুন রেল সেতুর নকশা চূড়ান্ত হয়েছে। এখন চুক্তির বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। এসব কিছু সম্পন্ন হলে রেল-কাম সড়ক সেতুর কাজ শুরু হবে এবং ২০২৮ সালের মধ্যে নতুন সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১ জুন থেকে কালুরঘাট সেতুতে রেল ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেলেও সংস্কারকাজ পুরোদমে শুরু হতে পারে ২০ জুনের পর। টেন্ডার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত এবং কার্যাদেশ দিতে আরো কিছু সময়ের প্রয়োজন হতে পারে। সংস্কার কাজ শেষে সেপ্টেম্বরে ট্রেন চলাচল শুরুর আশা করছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা। তবে যানবাহন আর আদৌ চলবে কি না এ নিয়ে দোটানায় আছেন কর্তৃপক্ষ। যদি কক্সবাজারের সঙ্গে ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে যায়, তাহলে রেলের নিরাপত্তা ও দ্রুততার কারণে নতুন আরেকটি সেতু নির্মাণ পর্যন্ত এই পথে অন্যান্য যানবাহনের অনুমতি প্রত্যাহার হতে পারে। তখন ফেরিই হবে বিকল্প ব্যবস্থা।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক মফিজুর রহমান জানিয়েছেন, সরকারের এই প্রকল্প দ্রুত শেষ করার জন্য দিনরাত কাজ চলছে। প্রকল্পের ৯৫ ভাগ শেষ হয়েছে। দোহাজারীর শংখ নদীতে দীর্ঘ রেল ব্রিজের নির্মাণ কাজও শেষ। এখন চলছে ফিনিসিংয়ের কাজ। কালুরঘাট সেতু মেরামতের পর ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচলের উপযোগী হবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।

ট্যাগ :