মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী কারাগারে


প্রকাশের সময় :৯ মার্চ, ২০২১ ৯:১৮ : পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপপরিদর্শক (এসআই) নওয়াব আলীর স্ত্রী গোলজার বেগমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন গোলজার বেগম। আবেদন নাকচ করে গোলজার বেগমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

গোলজার বেগম চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, গোলজার বেগম আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। দুদকের পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। পরে আদালত গোলজার বেগমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

এর আগে দুর্নীতির মাধ্যমে স্ত্রী গোলজার বেগমের নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে এসআই নওয়াব আলীর বিরুদ্ধে। শুধু স্ত্রী নয়, সম্পদের পাহাড় গড়েছেন নিজের নামেও। দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণভাবে তারা অর্জন করেছেন ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ।

নওয়াব আলীর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরের কেকানিয়া এলাকায়। সেখানে ২০১৩ সালে ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ জমির ওপর একটি দোতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন নিজের নামে। স্ত্রী গোলজারের নামে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ছলিমপুরে ৩৫৪ শতক জমি, চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার এলাকায় পার্কিংসহ ১ হাজার ১০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, একই এলাকায় ৪ শতক জমি রয়েছে। গোলজারের নামে একটি মাইক্রোবাসও রয়েছে।

এসআই নওয়াব আলী দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকার মালিক সাজিয়েছেন স্ত্রী গোলজারকে। মাছ চাষ থেকে ১ কোটি ১০ লাখ আয় টাকা করেছেন বলে কাগজপত্রে দেখালেও বাস্তবে মাছ চাষের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তারপরও মাছ চাষ করা হয় মর্মে কর কর্মকর্তারা প্রতিবেদন দিয়েছেন।

এসব কারণে এসআই নওয়াব আলী, তাঁর স্ত্রী গোলজার বেগম, কর অঞ্চল-১ চট্টগ্রামের অতিরিক্ত সহকারী কর কমিশনার (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) বাহার উদ্দিন চৌধুরী ও কর পরিদর্শক দীপংকর ঘোষকে আসামি করে আদালতে দুদক অভিযোগপত্র দেয়।

অভিযোগপত্র গ্রহণ করে গোলজার বেগম, তার স্বামী এসআই নওয়াব আলীসহ চার আসামির বিরুদ্ধে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

ট্যাগ :