ক্রীড়া ডেস্ক:
প্রথম শিরোপা সেই ২০১২ সালে। এরপর ২০১৪ থেকে ২০২৪। মাঝে কেটে গিয়েছে ১০টা বছর। এই ১০ বছর পর অবশেষে শাপমোচন হল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। যেই অধিনায়ক গম্ভীরের হাত ধরে শেষবার আইপিএল জিতেছিল কেকেআর এবার সেই গম্ভীরকে মেন্টর করে তৃতীয়বারের মতো কলকাতা চ্যাম্পিয়ন। ফাইনালে এদিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটে হারাল কলকাতা নাইট রাইডার্স। মাত্র ১০.৩ ওভারেই শেষ করে ফেলল ম্যাচ।
রোববার (২৬ মে) চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে আইপিএলের ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সানরাইজার্স অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। এই সিদ্ধান্ত তাদের পক্ষে যায়নি। যেই সানরাইজার্সের ব্যাটিং বিপক্ষের কাছে ত্রাস ছিল সেই সানরাইজার্সের ব্যাটিং ধসে যায়।
কলকাতার বিপক্ষে ওপেন করতে নামা ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা এদিন ব্যর্থ হলেন। শুরুটা করেছিলেন মিচেল স্টার্ক। পরে সেটাই ধরে রেখেছেন আন্দ্রে রাসেল-হার্ষিত রানারা। রাসেল পেয়েছেন তিন উইকেট, বাকি দুজন শিকার করেছেন দুটি করে। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স শেষদিকের লড়াইয়ে দলকে কিছুটা হলেও বলার মতো পুঁজি এনে দিয়েছেন। তার ৩০ রানের ইনিংসে ভর করেই ১১৩ রান দাঁড় করিয়েছে হায়দরাবাদ।
ফাইনালে হায়দরাবাদের দেওয়া ১১৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে প্রথম ধাক্কা খায় কলকাতা। দ্বিতীয় ওভারে দ্বিতীয় বলে আউট হন সুনীল নারিন। কামিন্সের বলে ৬ রান করে আউঠ হন তিনি। তবে এতে খুব একটা বেশি সমস্যা হয়নি। আইয়ার তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন, ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন। আর শেষটা করেছেন অধিনায়ক শ্রেয়াশ আইয়ার। ২৪ বলে ফিফটি করা ভেঙ্কেটশ অপরাজিত ছিলেন ৫২ রান করে। দলের জয়সূচক রানটাও এসেছে তারই ব্যাট থেকে।
১১৪ রানে প্রতিপক্ষকে থামাতে যেমন আগ্রাসী বোলিং দরকার ছিল, তার কিছুই দেখাতে পারেননি হায়দরাবাদের বোলাররা। ব্যাটিং ইউনিটের পর বোলিং ইউনিটও পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।
১৪ ম্যাচে ৯টি জয়সহ ২০ পয়েন্ট নিয়ে নিয়ে লিগ টেবিলের এক নম্বরে থেকে প্লে-অফে ওঠে কলকাতা নাইট রাইডার্স। অন্যদিকে ১৪ ম্যাচে ৮টি জয়সহ ১৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থেকে প্লে-অফের বৃত্তে প্রবেশ করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। পরে প্রথম কোয়ালিফায়ারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে সরাসরি ফাইনালের টিকিট হাতে পায় কলকাতা। অন্যদিকে প্রথম কোয়ালিফায়ার হারলেও রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার জিতে খেতাবি লড়াইয়ের টিকিট অর্জন করে সানরাইজার্স। এবার টুর্নামেন্টের ফাইনালে ফের মুখোমুখি হয় কলকাতা ও হায়দরাবাদ। শেষমেশ হাই-ভোল্টেজ ফাইনালে হায়দরাবাদকে টেক্কা দিয়ে নিজেদের তৃতীয় আইপিএল ঘরে তুলল কলকাতা।