স্টাফ রিপোর্টার:
শুরুর দুইদিন বাংলাদেশের আধিপত্যের পর তৃতীয় দিনটা হয়ে থাকল আয়ারল্যান্ডের। তাতে সিরিজের একমাত্র টেস্টটা পরীক্ষা দিয়েই জিততে হলো টাইগারদের। শুক্রবার ( ৭ এপ্রিল) ম্যাচের চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৩৮ রানের। ব্যাট করতে নেমে লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত এবং তামিম ইকবালের উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে আয়ারল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ২১৪ রানের সংগ্রহ গড়ে। বিপরীতে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে করে ৩৬৯ রান।
১৫৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা আয়ারল্যান্ড শেষ পর্যন্ত ২৯২ রান করতে সক্ষম হয়। যদিও ১৩ রানে ৪ ও ৫১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারে ছিল দলটি।
২০১৯ সালে চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ ভেবেছিলো ক্রিকেটের নবাগত দেশটিকে পেয়ে জয় তুলে নেবে। কিন্তু উল্টো মুমিনুল হকের দলকে লজ্জা দিয়ে ২২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছিলো আফগানরা।
এবার আয়ারল্যান্ডকে পেয়ে বেশ সতর্ক ছিলো বাংলাদেশ। যে কারণে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং ওপেনার লিটন দাসকে আইপিএলের ছাড়পত্র পর্যন্ত দেয়নি বিসিবি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচটাকে তারা এতটা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিলো।
আগের দিনের ৮ উইকেটে ২৮৬ রান নিয়ে দিন শুরু করা আয়ারল্যান্ড আর ৬ রান যোগ করতেই গুটিয়ে গিয়েছিল। দিনের দুটি উইকেটই নেন ইবাদত। প্রথমে ম্যাকব্রাইনকে ফেরান বোল্ড করে। আট নম্বরে নেমে ৭২ রান করেন ম্যাকব্রাইন। ১৫৬ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস।
ম্যাকব্রাইন ফেরার পর বেন হোয়াইট আসেন উইকেটে। শেষ জুটিতে গ্রাহাম হিউমের সঙ্গে ৩ রান যোগ করতে পারেন তিনি। হিউমকেও উইকেটের পেছনে ক্যাচে পরিণত করে আইরিশদের ইনিংস গুটিয়ে দেওয়ার কাজটা করেন ইবাদত। ৫৫ বলে ১৪ রান করেন হিউম।
ইবাদত দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট নিয়েছেন। সর্বাধিক ৪ উইকেট নিয়েছেন প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট পাওয়া তাইজুল ইসলাম। এছাড়া সাকিব আল হাসান ২টি ও শরীফুল ইসলাম ১ উইকেট নেন।
টেস্টের আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-০ তে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ এ জিতেছিল বাংলাদেশ।