ক্রীড়া প্রতিবেদকঃ
উদ্বোধনী দিনের ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা ছিল বেলা আড়াইটায়। কিন্তু ম্যাচের আড়াই ঘণ্টা আগে বিসিবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, ম্যাচটি শুরু হচ্ছে বেলা ২টায়। এ কারণে অনেক দর্শক যথাসময়ে মাঠে উপস্থিত হতে না পেরে ম্যাচের শুরুর অংশ মিস করেছেন। যদিও অপেশাদারত্বের দায় কাঁধে নিয়ে বিসিবি বিষয়টিকে দেখছে ‘মিস কমিউনিকেশন’ হিসেবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে খেলা শুরুর আড়াই ঘণ্টা আগে সময় পরিবর্তনের কথা গণমাধ্যমকে জানায় বিসিবি। কিন্তু বিসিবি সময় পরিবর্তনের বিষয়টি চূড়ান্ত করে ২৬ ডিসেম্বর। পরবর্তীতে ব্রডকাস্টার, স্কোরার, ম্যাচ অফিসিয়াল, দলগুলোকে জানিয়ে দিলেও গণমাধ্যমকে জানাতে ভুলে যায়! বিষয়টিকে ‘মিস কমিউনিকেশন’ হিসেবে দেখছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ঈসমাইল হায়দার মল্লিক।
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এটা মিস কমিউনিকেশন আমাদের। আপনাদের যে প্রেস রিলিজটা দেওয়া হয়েছিল, সেটাতে যে ফিকশ্চার দেওয়া হয়েছিল, সেটাতে আড়াইটায় ছিল। পরে ওয়েদার কন্ডিশন বিবেচনা করে আমাদের টেকনিক্যাল কমিটির সাজেশন এবং দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে শুক্রবার দুপুর ২টায় এবং বাকি দিন দেড়টা করা হয়েছে। খেলাটা এগিয়েছে, সেটা অবশ্যই প্রেস রিলিজ দিয়ে জানানো উচিত ছিল। কারণ, আপনাদের মাধ্যমেই দর্শকরা জানেন।’
মল্লিক আরও জানান, ২৬ ডিসেম্বর এই সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছিল। তা প্রেস রিলিজে না জানালেও ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিসিবির ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ঘুরে তেমন কিছুই পাওয়া যায়নি। এ তথ্য বিভ্রাটেও যে বিসিবি ধোঁয়াশার সৃষ্টি করছে, তা বোঝা গেছে স্পষ্ট।
শুধু এবারই নয়, আরও একবার সময় সূচিতে পরিবর্তন আসতে বলে বলে জানিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। এর সদস্য ও বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘শিশিরের কারণে হয়তো আমাদের সামনে কিছু ম্যাচে সময় সূচিতে পরিবর্তন আনতে পারি। সেটাও আমরা জানিয়ে দেবো। যে ঠান্ডা পড়েছে, সেই ঠান্ডায় গ্যালারিতে ওপেন স্পেসে এতটা সময় থাকা কঠিন। তাই দর্শকদের কথাও চিন্তা করতে হচ্ছে।’