আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যখন তিনি ইউরোপিয়ান ফুটবলের মায়া কাটিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারি জমিয়েছিলেন মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মিয়ামির অংশ হতে, তখন অনেকেরই চোখ কপালে উঠেছিল। কেন এত তাড়াতাড়ি অর্থাৎ মাত্র ৩৫ বছর বয়সে তিনি এমন একটা লিগে পাড়ি জমাচ্ছেন যেখানে তার কাছাকাছি উচ্চতার অন্য কোনও ফুটবলের কে পাওয়া যায় না, তা নিয়ে রীতিমতো হতাশ হয়েছিলেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi) ভক্তরা।
কিন্তু সেই ক্লাবে যোগ দেওয়ার এক মাসের মধ্যেই হাসি ফিরল লিওনেল মেসির মুখে। গত ডিসেম্বরে জিতেছিলেন বিশ্বকাপ ফাইনাল। তারপর পিএসজির হয়ে জিতেছিলেন ফ্রেঞ্চ লিগ। এবার আগস্টে ইন্টার মিয়ামির হয়ে ৭ ম্যাচ খেলে ১০ গোল করে নতুন ক্লাবকে জিতিয়ে দিলেন লিগস ক্লাব। সবচেয়ে বড় কথা হলো এটাই মেসি যে এখনও ইউরোপের যে কোনও লিগে খেলার উপযুক্ত ছিলেন তা এই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বল ক্লাবগুলির বিরুদ্ধে বিশ্বমানের একের পর এক পারফরম্যান্স করে ক্রমাগত বুঝিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
মেসি এখনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ফুটবল লিগ মেজর লিগ সকারে মাঠে নামেননি। কিন্তু সেখানেও যে তার সাফল্য নিশ্চিত, তা এই টুর্নামেন্ট দেখেই বুঝে নেওয়া গেল। যদিও মেসি ক্লাবে যোগ দেওয়ার আগেই লিগের অর্ধেকটা পেরিয়ে গিয়েছে এবং ইন্টার মিয়ামি একদম তলানিতে রয়েছে লিগ টেবিলের। তাই লিগের শিরোপা জেতার কোনও উপায় নেই। কিন্তু প্রতি ম্যাচে গোল করে নিজের নতুন ক্লাবকে এই নকআউট টুর্নামেন্ট জিতিয়ে দিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।
এদিন বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে নিজের দলকে মেসি এগিয়ে দিয়েছিলেন মাত্র ২৩ মিনিটে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ইন্টারের প্রতিপক্ষ ন্যাসভিলা সমতায় ফেরে। এরপর নির্ধারিত সময়ে দুই দলই গোল খুঁজে না পাওয়ায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময় অবধি। সেখানেও গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি মেসি। দুই দলই নির্দিষ্ট পাঁচটি কিকের মধ্যে একটি মিস করায় খেলা গড়ায় সাডেন ডেথ অবধি। এরপর ১১ তম পেনাল্টি মিস করেন ন্যাসভিলার ইলিয়ট প্যানিকো। তার ওই পেনাল্টি মিস নিশ্চিত করে দেয় মেসি ও তার নতুন ক্লাব ইন্টার মিয়ামির মরশুমের প্রথম ট্রফি।