ক্রীড়া প্রতিবেদকঃ
প্রতিশোধ নেওয়া হলো না লিভারপুলের। ২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হারের বদলা নেওয়ার কথা বলছিল তারা বারবারই। কিন্তু হতাশই হতে হলো অলরেডদের। আরও একবার ফাইনালে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের সামনে পড়ে স্বপ্ন ভাঙলো লিভারপুলের। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে শনিবার রাতে দাপট দেখিয়ে খেলেও গোলের দেখা পেলেন না সালাহ-মানেরা।
বরং খেলার ধারার বিপরীতে গোল করে দলকে লিড এনে দিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়াস জুনিয়র। দুর্দান্ত সব সেভ করে নায়ক হয়ে রইলেন গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়াও। তাতেই ১-০ গোলের জয় নিয়ে রেকর্ড ১৪তম বারের মতো ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন হলো রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাচের পরিসংখ্যান দেখলে যে কারও চোখ কপালে উঠবে। লিভারপুলের আক্রমণের সামনে রীতিমত কোণঠাসা ছিল রিয়াল। মোট ২৪টি শট নেয় লিভারপুল, যার ৯টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে মাত্র ৪ শটের দুটি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল রিয়াল। একটিতে তারা গোল আদায় করে নেয়, অন্য শটও জালে জড়িয়েছিল। অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়।
ম্যাচের ১৬ মিনিটের মাথায় মোহামেদ সালাহর ক্লোজ রেঞ্জ শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ফেরান রিয়াল গোলরক্ষক। ২১ মিনিটে সাদিও মানে তো গোলই পেয়ে যাচ্ছিলেন প্রায়, এবারও কর্তোয়ায় বেঁচে যায় রিয়াল। তার হাতে সরানো বল গিয়ে লাগে পোস্টে।
৪২ মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো থ্রো বল একদম এলিসনের সামনে পেয়ে গিয়েছিলেন বেনজেমা। দুই তিনবার লিভারপুল গোলরক্ষককে কাটিয়ে শট নেওয়ার জায়গা পাননি, পড়ে যাওয়ার সময় আলতো করে বল ঠেলে দেন ভালভার্দের দিকে।
ভালভার্দেও ঠিকমতো শট নিতে পারেননি, বল গড়িয়ে আবার চলে যায় বেনজেমার পায়ে। এবার আর ভুল করেননি ফরাসি ফরোয়ার্ড, জড়িয়ে দেন জালে।
কিন্তু অফসাইডের কারণে গোলটি পায়নি রিয়াল। ‘ভার’-এ সিদ্ধান্তটি নিতে অনেক সময় লেগেছে রেফারি। শেষ পর্যন্ত আর গোলের দেখা পায়নি লিভারপুল। প্রতিশোধও নেওয়া হয়নি তাদের। ভিনিসিয়াস জুনিয়রের একমাত্র গোলে শিরোপা উৎসবে মাতে রিয়াল।