স্টাফ রিপোর্টার:
চলতি বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের মাঝেই একটি বিষয়ে চলছে জোর আলোচনা। বিপিএল শেষে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল কি পাকিস্তান সফরে যাবে? আর সেটি গেলেও পূর্ণাঙ্গ সফর অর্থাৎ টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সবই খেলবে টাইগাররা? নাকি যেকোনো একটি সিরিজ খেলবে সেখানে?
এমন সব প্রশ্ন ক্রমেই ডালপালা মেলছিল চারপাশে। বিসিবি প্রধান নির্বাহী ও পিসিবি (পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড) চেয়ারম্যানের পাল্টাপাল্টি মন্তব্যে পরিস্থিত হয়েছিল আরও ঘোলাটে। তবু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের হাতে। আর সেটিই আজ (বৃহস্পতিবার) জানালেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
শুক্রবার বিপিএলে ঢাকার দ্বিতীয় পর্ব শুরুর আগে আজ হুট করেই বোর্ডের হাজির সভাপতি পাপন। জাতীয় দলের দুই ক্রিকেটার মুশফিকুর রহীম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি। পরে বোর্ড ডিরেক্টরদের সঙ্গে আলাপ শেষে সংবাদ মাধ্যমে তিনি সাফ জানিয়েছেন, ‘পাকিস্তানে আপাতত টেস্ট সিরিজ খেলতে যাবে না বাংলাদেশ।’
তবে কি বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যাচ্ছে? এ প্রশ্নের বিপরীতে পাপনের ব্যাখ্যা ও জবাব, ‘সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে নিরাপত্তার ব্যাপারে সবুজ সংকেত ও পাশাপাশি ক্রিকেটারদের মধ্যে কারা যাবে না যাবে, কেমন দল হবে এবং আমরা যদি একটা মোটামুটি শক্তিশালী দল গড়তে পারি- তবেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার প্রশ্ন।’
বিসিবি বিগ বসের এ কথায় বোঝা গেলো, পাকিস্তানের সাম্প্রতিক অবস্থা বিবেচনায় নিরাপত্তার বিষয়ে ইতিবাচক অবস্থানেই আছে বোর্ড। যার ফলে টেস্ট না হলেও, সাতদিনের জন্য তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার ব্যাপারে আগ্রহ আছে তাদের। তবে এটি সম্ভব কি না সে ব্যাপারেও সন্দিহান বিসিবি সভাপতি।
কেননা কোচিং স্টাফের প্রায় সবাই পাকিস্তান সফরে যাওয়ার ব্যাপারে নারাজ। এমনকি খেলোয়াড়দেরও সবাইকে পাওয়া যাবে- এমনটা জোর দিয়ে বলছেন না নাজমুল হাসান পাপন। তবে তার উপরিউক্ত কথায় পরিষ্কার, নিয়মিত দলের সবাই না গেলেও, মাঝারি শক্তিশালী দল নিয়েই পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে আসবে বাংলাদেশ।
টেস্ট সিরিজ না খেলার সিদ্ধান্ত জানানোর পর তিনি আরও বলেন, ‘নিরাপত্তা ইস্যুতে আমরা সবার আগে খুঁটিয়ে দেখেছি পাকিস্তানের নেয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থাটা আসলে কেমন? আমরা যতটা জেনেছি, তাতে মনে হচ্ছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক আছে। আমাদের নারী দল গিয়েছে, ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৬ দল খেলে এসেছে, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা কেউ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি।’
‘আমরা সব খোঁজ খবর নিয়েছি। কোথাও পাকিস্তানের নেয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রশ্ন অন্য জায়গায়। আমরা দেখছি আসলে প্লেয়ার এবং কোচিং স্টাফরা যাবে কি না? অনেক আগে থেকে কথা বলেছি। কোচিং স্টাফদের বড় অংশ না করে দিয়েছে। তারা যাবে না। আর যাও যাবে কেউ লম্বা সময় ধরে পাকিস্তান থাকতে চায় না।’