ক্রীড়া প্রতিবেদক:
টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ১০ ধাপ পিছিয়ে থাকা দল যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বড় অর্জন বলতে একবার কেবল আয়ারল্যান্ডকে হারিয়েছিল তারা। সেই দলটার কাছে এবার নাস্তানাবুদ হলো টাইগাররা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম দেখাতেই বাংলাদেশকে হারিয়েছে স্বাগতিকরা।
হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার (২১ মে) তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। টাইগারদের দেয়া ১৫৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩ বল হাতে রেখে জিতেছে স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশকে হারিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশকে হারাল তারা। এর আগে ২০২১ সালে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়েছিল দলটি। এক কথায় বলতে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় এটি।
মাঝারি লক্ষ্যতাড়ায় শুরুটা দারুণ করে যুক্তরাষ্ট্র। দুই ওপেনার মিলে ৩ ওভারে তোলেন ২৭ রান। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে শরিফুলের দুর্দান্ত থ্রোয়ে রান আউট হন যুক্তরাষ্ট্র অধিনায়ক মোনাক প্যাটেল। ১২ বলে ১০ রান করেন তিনি। অধিনায়কের উইকেট হারানোর পরেও স্বাচ্ছন্দে ব্যাট করছিল যুক্তরাষ্ট্র।
দ্বিতীয় উইকেটে অ্যাটকিনসন গুস এবং স্টিভেন টেইলর গড়েন ৩৮ রানের জুটি। ১৮ বলে ২৩ রান করে নবম ওভারে আউট হন গুস। এরপর হুট করেই একটা ঝড় বয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটিং লাইনের ওপর। ৮ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান করা দলটা পরের ৮ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে করে ৩৯ রান।
মাঝারি লক্ষ্যতাড়ায় শুরুটা দারুণ করে যুক্তরাষ্ট্র। দুই ওপেনার মিলে ৩ ওভারে তোলেন ২৭ রান। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে শরিফুলের দুর্দান্ত থ্রোয়ে রান আউট হন যুক্তরাষ্ট্র অধিনায়ক মোনাক প্যাটেল। ১২ বলে ১০ রান করেন তিনি। অধিনায়কের উইকেট হারানোর পরেও স্বাচ্ছন্দে ব্যাট করছিল যুক্তরাষ্ট্র।
দ্বিতীয় উইকেটে অ্যাটকিনসন গুস এবং স্টিভেন টেইলর গড়েন ৩৮ রানের জুটি। ১৮ বলে ২৩ রান করে নবম ওভারে আউট হন গুস। এরপর হুট করেই একটা ঝড় বয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটিং লাইনের ওপর। ৮ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান করা দলটা পরের ৮ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে করে ৩৯ রান।
শেষ ২০ বলে ৫০ রান দরকার ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। পরের ৮ বলে তিন ছক্কা এবং এক চার মেরে সেই সমীকরণটা ২ ওভারে ২৪ রানে নামিয়ে আনেন হারমিত সিং বাধন। শেষ দুই ওভারে অভিজ্ঞতার পরিচয় দেন কোরি অ্যান্ডারসন। একসময় নিউজিল্যান্ডের হয়ে মাঠ কাঁপানো এই অলরাউন্ডার শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ১৩ বলে ৩৩ রান করে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছেন হারমিত সিং। ২৫ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন অ্যান্ডারসন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে হতাশ করেছে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। দুবার জীবন পেয়েও মাত্র ১৪ রানে থেমেছেন লিটন কুমার দাস। শুরুটা ভালো হলেও ১৩ বলে ২০ রানে থেমেছেন সৌম্য সরকার। লিটনের চেয়ে এদিন বেশি হতাশ করেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। জিম্বাবুয়ে সিরিজে ব্যর্থ এ ব্যাটার এদিন ১১ বল খেলে মাত্র ৩ রান করেছেন। আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন সাকিব আল হাসান। ১২ বলে ৬ রান করে রান আউট হন তিনি। তাতে ৬৮ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
এদিন হৃদয় রান পেলেও সেটা ছিল না টি-টোয়েন্টি সুলভ। তাকে সঙ্গ দেয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও খুব একটা ঝলে উঠতে পারেননি। দুজন মিলে ৪৮ বল মাঠে থেকে দলকে এনে দেন মাত্র ৬৭ রান। ২ চার ও ১ ছক্কায় ২২ বলে ৩১ রান করে ১৯তম ওভারে আউট হন মাহমুদউল্লাহ। ৪০ বলে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেয়া হৃদয় ইনিংসের শেষ বলে আউট হয়েছেন ৫৮ রান করে। ৪৭ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংসটি। শেষদিকে নেমে ২ চারের মারে ৫ বলে ৯ রান করেন জাকের আলী।