মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক নজরে ‘কালো মানিক’ খ্যাত পেলের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার


প্রকাশের সময় :৩০ ডিসেম্বর, ২০২২ ৬:৪৯ : অপরাহ্ণ

ক্রীড়া প্রতিবেদকঃ

৮২ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ‘কালো মানিক’ খ্যাত এই ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি। সাও পাওলোর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পেলে। কোলন ক্যান্সারে সাথে যুদ্ধে অবশেষে হার মানলেন তিনি।

ফুটবলের অসংখ্য রেকর্ডে জড়িয়ে আছে পেলের নাম। ব্রাজিলের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ জেতার পথে যেসব কীর্তি গড়েছেন, সেসবই তাকে অমর করে রাখবে ইতিহাসের পাতায়। ১৯৫৮, ১৯৬২ এবং ১৯৭০ বিশ্বকাপ জেতা পেলেকে ব্রাজিলের মানুষ স্মরণ করবে পরম শ্রদ্ধায়।

ফুটবলের অনেক প্রথম এবং বেশকিছু রেকর্ড এসেছে পেলের হাত ধরেই। সময়ের সাথে সাথে সেসব রেকর্ডের কিছু কিছু ভেঙ্গে গেলেও, পেলের কীর্তি তাতে একটুও মলিন হবে না। ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির ক্যারিয়ার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক-
মাত্র ১৬ বছর বয়সে ব্রাজিল দলে অভিষেক হয় ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০ বিশ্বকাপ জেতা পেলের। এরপর লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের দেশটির হয়ে ৯২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন তিনি, গোল করেন ৭৭টি। যা এখনও ব্রাজিলের কোনো ফুটবলারের পক্ষে সর্বোচ্চ।

তার ক্লাব ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় কেটেছে ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব সাস্তোসে। ক্লাবটির হয়ে ১৮ বছর (১৯৫৬-১৯৭৪) খেলেন তিনি, গোল করেন ৬১৮টি। ক্যারিয়ারের শেষ দিকে নিউ ইয়র্ক কসমসের হয়ে দুই বছর খেলেন ব্রাজিলের এই কিংবদন্তী।

বিশ্বকাপে ১২ টি গোল করেছেন পেলে। কাতার বিশ্বকাপে লিওনেল মেসি রেকর্ড গড়ার আগে বিশ্বকাপেড় ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোল+অ্যাসিস্টও ছিল পেলেরই। বিশ্বকাপের ফাইনালে সবচেয়ে কম বয়সে গোল করা খেলোয়াড় এখন পর্যন্ত তিনি।

১৯৫৮ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে হ্যাটট্রিক এবং ফাইনালে করেছিলেন জোড়া গোল। সেই সময় পেলের বয়স ছিল ১৭ বছর! ১৯৬২ বিশ্বকাপে এক ম্যাচ খেলেই চোটে আক্রান্ত হওয়ায় আর খেলতে পারেননি। তবে ব্রাজিল বিশ্বকাপ জেতায় সেটি পেলের জয় হিসেবেও বিবেচিত হয়।

১৯৭০ বিশ্বকাপেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান পেলে। ফাইনালে গোল করেন তিনি। ইতালিকে হারিয়ে নিজেদের তৃতীয় বিশ্বকাপ জয়ের পাশাপাশি জুলেরিমে ট্রফি চিরতরে নিজেদের করে নেয় তারা।

ব্রাজিলের জাতীয় সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল পেলেকে। নিজেদের সেই অমূল্য সম্পদ হারিয়ে এখন শোকে মুহ্যমান গোটা ব্রাজিল। একজন পেলে যে আর কখনোই আসবেন না ফুটবল জগতে।

ট্যাগ :